ভাইজান। আমি আস্তে করে ডাকলাম।
নাসির ভাই লাল চোখে তাকালেন আমার দিকে। চুপ হারামজাদা।
কিন্তু চুপ করে থাকতে বললেইতো আর চুপ করে থাকা যায় না। অনেকক্ষণ ধরে চেপে রেখেছি, আর চেপে রাখলে হয়ত পেট ফেটেই মারা যাব।
ভাইজান। আমি আবার ডাকলাম।
এবার আর ভাইজান কথা বললেন না, বলল তার হাত। চড় খাওয়ার পর থেকে কনফিউজড হয়ে গেলাম, সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে না পৃথিবী সূর্যের চারিদিক?
আর একটাও কথা না, একদম চুপ।
ভাই, চাপ বেশি, বাথরুমে যাইতে হবে।
এখানেই কর হারামজাদা, কোথাও যাইতে পারবি না।
কি বলেন এইসব? এত্তগুলা মানুষের সামনে ক্যামনে পেশাব করব? আমার কি লজ্জাশরম নাই?
পুরা কথাটা শেষ করতে পারলাম না, তার আগেই নাসির ভাইয়ের দ্বিতীয় চড়টা খেলাম।
আসছে আমার লাজুক লতা, লোকের সামনে পেশাব করতে পারে না। পারে শুধু রাতের আঁধারে লাশ চুরি করতে।একদম চুপচাপ দাঁড়ায় থাক।
আমি আর কিছু বললাম না, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলাম।মনযোগ সরানোর জন্য অন্য কিছু নিয়ে ভাবার সিদ্ধান্ত নিলাম, অথচ মাথায় অন্যকোন ভাবনাই আসছে না।
আমি ব্রিলিয়ান্ট লোক, ভাবার মত অনেক বিষয়ই আছে আমার। মনে মনে বললাম বটে, অথচ মাথায় কোন ভাবনাই আসছে না।শুধু একটা কথাই মাথায় আসছে, চাপ বাড়ছে। হাজার বছরের পুরনো চাপ।
এর মধ্যে আবার শিষ বাজায় কে?
লকআপে বন্দী লোকটা শিষ বাজাতে শুরু করেছে!
শৈশবে বাথরুম ছিল ঘর থেকে দূরে, রাতের বেলা একা যেতে ভয় পেতাম। আম্মা ঘরের বাইরে দাঁড় করিয়ে বলতেন, কর।
ভয়ে আমার চাপ আসত না।
আম্মা তখন শিষ দিতেন, কিভাবে যেন আমি চাপমুক্ত হয়ে যেতাম।
আজ এই বিপদের রাতে, লকআপে বদ্ধ লোকটার শিষ শুনে সেই পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
আর তখনই দূর্ঘটনা ঘটে গেল।
দুই
দুই ঘন্টা আগে।
জলদি কর। মুনির স্যার তাগাদা দিলেন। আকাশের অবস্থা ভাল না।
স্যারের কথা শেষ হওয়ার আগেই দূরে কোথাও বাজ পড়ল।
আমি আকাশের দিকে তাকালাম। রাতের আঁধারে আকাশ কতটুকু মেঘাচ্ছন্ন বোঝা যাচ্ছে না, তবে একটু পর পর বজ্রপাত আর বিদ্যুতের ঝলকানি বুঝিয়ে দিচ্ছে অবস্থা ভাল না। হঠাৎ হঠাৎ বাতাস এসে ধাক্কা মারছে। ঝড় আসবে মনে হয়।
স্যার। কিংশুক ডাকল।
কি? মুনীর স্যার জানতে চাইলেন।
বাতাস অনেক। ধূলায় চোখ খোলা রাখতে পারতেছি না।
তোর কোন গগলস নাই?
এইডা কি জিনিস? কিংশুক অবাক।
জানার দরকার নাই। গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখ।
স্যারের জবাব শুনে কিংশুক সন্তুষ্ট হয়েছে বলে মনে হল না। কিন্তু স্যার...
কথা বলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাত চালা। যত তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পারবি, তত তাড়াতাড়ি ফিরতে পারব আমরা।
ঠিক বলছেন স্যার। আমি সাড়া দিলাম।
কিংশুক কিছু না বলে কবর খোড়ায় মনযোগ দিল, আমিও দ্রুত গতিতে বেলচা চালাতে লাগলাম।
পাঠক, আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমি কি কাজ করি। লোকের ভাষায় আমি একজন লাশচোর, রাতের আঁধারে কবর থেকে লাশ সরাই। তবে নিজেকে আমি একজন উদ্যোক্তা বলেই মনে করি, মেডিকেল কলেজে লাশ সাপ্লাই করি, মাঝে মাঝে কঙ্কালও। ভবিষ্যতের ডাক্তারদের শিক্ষায় আমি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছি, সেই হিসেবে আমাকে একজন সমাজ সেবকও বলতে পারেন।
স্যার।
কি? মুনীর স্যারের কথায় বিরক্তি।
লাশ থেকে কঙ্কাল কিভাবে করে?
তোর জেনে কি লাভ?
এমনিই। জানতে চাইলাম আর কি।
বেশি জানা ভাল না। তোর কাজ নতুন কারো কবর হলে আমাকে খবর দেয়া, সেটাই কর। বেশি বুঝলে বিপদ। ঠিক আছে?
শালা হারামজাদা। অনেকদিন ধরেই এই ব্যাটাকে আমি লাশের খবর দেই, রাতের আঁধারে তাদের সাথে কবর খোঁড়াখুঁড়ি, লাশ টানাটানি-সবই করি। তবুও শালা একটু সম্মান দিয়ে কথা বলে না।
ব্যাপার না, তুই না বল, লাশ কিভাবে কঙ্কাল করতে হয় সেটা আমি ঠিকই জেনে নিব। তোদের মর্গের একজনের সাথে কথাবার্তা চলতেছে, সব ফাইনাল হয়ে গেলে এই মুনীর ব্যাটাকে আর কে গোনে? নিজেই লাশ নিয়ে রাতের বেলা মর্গে চলে যাব, তারপর কঙ্কাল বানিয়ে ফেলব। তারপর ফার্স্ট ইয়ারের চ্যাংড়া পোলা গুলার কাছে যাব। ভাইয়া, বোনস লাগবে? খুব অল্পদামে ছেড়ে দিচ্ছি।
বেলচাটা মনে হয় আটকে গেল।
আশিক।
জ্বি স্যার।
কি সমস্যা? মুনীর স্যার জানতে জাইলেন।
বেলচাটা আটকে গেছে মনে হয়।
আটকে গেছে মানে কি?
মনে হচ্ছে কফিনের কাঠের মধ্যে আটকা পড়ে গেছে।
আটকায় কিভাবে? বললাম না সাবধানে কাজ করতে। মুনীর স্যার চিৎকার করতে শুরু করলেন। এখন একটা বেলচা না থাকা কাজে পিছিয়ে পড়া- সেটা বোঝ? ওদেরকে সময়মত চারটা বডি দিতে পারলে আমি ব্যবসা করব কি করে?
শালা। মনে মনে গালি দিলাম আমি। ব্যবসা তোর চেয়ে কম বুঝি? আমি না বললে তোর লাশের খবর দিবে কে? দাড়া, খালি লাইন ঘাট পেয়ে নেই। তোরে গুনার টাইম থাকবে না আর।
কিছু বললি? মুনীর স্যার জানতে চাইল।
না স্যার, দেখতেছি।
শালা, একে আধার রাত, তার ওপর এই মশালের আলো। কোন কিছু বোঝার জো আছে? তারপরও বোঝার চেষ্টা করলাম, বেলচার মাথাটা ভালমতোই আটকেছে মনে হচ্ছে।
হাত দিয়ে টানার চেষ্টা করলাম। লাভ হল না। হাতের জোরে হবে না।
হল নাকি? মুনীর স্যার জানতে চাইলেন।
দেখতেছি।
একটা বড় পাথর বা ইট জাতীয় কিছু হলে ভাল হত। এক পাশ থেকে জোরে বাড়ি দিয়ে বেলচাটা আলগা করা যেত।
এই আশিক।
জ্বি স্যার।
খালি হাতে হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইট বা পাথর জাতীয় কিছু দিয়ে বাড়ি মার। আলগা হয়ে যাবে।
দেখতেছি।
এখন এই গোরস্থানে ইট বা পাথর পাব কোথায়?
হঠাৎ কেন যেন জেদ চেপে গেল। এই মুনীর ব্যাটারে আমি দেখায় দিব। শালা, তোর পরামর্শের মায়রে বাপ। ইট-পাথর লাগবে না, খালি হাতেই আমি বেলচাটা ছুটায় ফেলব।
কতক্ষণ বেলচাটা নিয়ে টানাটানি করলাম?
বিশ মিনিট?
হতে পারে।
ত্রিশ মিনিট?
তাও হতে পারে। ঘড়ি দেখি নাই, সময়ের হিসাব ছিল না।
তবে বেলচা নিয়ে কবর থেকে উঠে আসার পর যা দেখলাম, তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কবরস্থানে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। মুনীর স্যার, কিংশুক আর নাম না জানা ছেলেটা দিকবিদিগজ্ঞানশূন্য হয়ে দৌড়াচ্ছে। গাড়ি নেয়ার কথাও ওদের মনে নাই।
এই কিংশুক। দৌড়ায় কই যাস?
কিংশুক কিছু বলার মত অবস্থায় ছিল না। দৌড়াতে দৌড়াতে হাত দিয়ে একদিকে ইশারা করল শুধু।
আমি ওর আংগুল অনুসরণ করলাম।
দূরে মশাল হাতে একদল লোক দেখতে পেলাম, এগিয়ে আসছে গোরস্থানের দিকেই। গ্রামবাসী কি তবে আমাদের লাশচুরির কথা জেনে গেছে?
তিন
নাসির ভাই লকআপের সামনে এসে দাঁড়াল।
আশিক।
জ্বি ভাই।
তোর লজ্জা নাই?
মানে?
আমাদের বংশের ছেলে হয়ে তুই শেষ লাশ চুরি করলি?
ওরে আমার বংশরে। আমি মনে মনে বললাম। ঘুষ দিয়ে হাবিলদারের চাকরি নিছে, ভাব দেখলে মনে হয় পুলিশের আইজি।
কি হইল? কথা বল।
কি বলব ভাইজান? চাকরি বাকরি নাই, কিছু করেতো খাওয়া লাগবে।
তাই বলে লাশচুরি?
আমি চুপ করে রইলাম।
তুই কি বুঝতেছিস তোর ভাগ্য কতটা ভাল?
কেন?
কেন মানে? তোর তিন সাথীর কি হইছে তুই জানস না?
আমি অবাক হয়ে যাই। থানায় আমাকে একা নিয়ে এসেছে ওরা, বাকি তিনজন কি তবে পালায় নি?
আরে, কারে কি বল? পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিলদারটা হেসে ওঠে, গ্রামবাসীর মিছিল দেইখাই তোমার ভাই জ্ঞান হারাইছে, তার জ্ঞান ফিরছে থানায় আসার পর। ঐ তিনজনের ভাগ্যে কি ঘটছে- তোমার ভাই জানেই না।
ওদের কি হইছে, ভাইজান? আমি জানতে চাই।
নাসির ভাই মুখ নামিয়ে নেয়।
কি হইল? কথা বল না কেন?
ওরা তিনজনই গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়ছিল। গ্রামের লোকজন ওদের গাড়ির মধ্যে বেঁধে রেখে পুরা গাড়ি জ্বালায় দিছে।
অ্যাঁ।
হ্যা, তোকেতো বাঁচায় আনছি অনেক কষ্টে। গ্রামবাসীকে আমি কথা দিছি তোর বিচার হবে। তার সব দায়দায়িত্ব আমি নিছি।
মানে?
এই সাধারণ কথাটার মানেও বোঝস না নাকি, হারামজাদা? ওদেরকে এই কথা না বললে তোকেও জীবন্ত জ্বালায় দিত।
কিন্তু...
কোন কিন্তু না। ঘুম দে। সকালে তোকে কোর্টে চালান করে দেব।
চার
কেউ পার পাবে না।
উফ, এই রাতের বেলা আবার কে এত প্যা পোঁ করে?
কেউ পার পাবে না।
মেজাজটা খারাপ করে দিল।
ওই মিয়া চুপ। আমি চিৎকার করলাম।
প্যা পোঁ বন্ধ হয়ে গেল।
অন্ধকার লকআপে শুয়ে আছি। হাতের কাছে ঘড়ি মোবাইল কিছু নাই, সময় বোঝা যাচ্ছে না।সকাল হতে কতক্ষণ বাকি কে জানে? সময় থাকলে আরেকটু ঘুমানোর চেষ্টা করতাম, কোর্টে চালানের আগে।
নাহ, ঘুম আর আসবে বলে মনে হচ্ছে না।
বাল। এই ছাগল লকআপমেটের প্যা পোঁ শুনে ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
আচ্ছা, আমিতো লকআপে একা ছিলাম। এই ছাগলটা আসল কখন?
নিশ্চয়ই ঘুমানোর পর।
একটা সিগারেট হলে ভাল হত।
বিড়ি খাইবেন? লোকটা জানতে চাইল।
আমার সিগারেট খেতে মন চাইল, আর লোকটা আমাকে বিড়ি অফার করছে! কাকতালীয় ব্যাপারই বটে।
আছে নাকি?
আছে, তয় পানিত ভেজা।
পানিতে ভেজা বিড়ি?
হ, নৌকা ডুইবা গেছিল আমার। লুঙ্গির গিটে রাখা বিড়িগুলাও তখন ভিজা গেল।
তাহলে আর কি লাভ। বাদ দেন।
আইচ্চা।
লোকটা চুপ হয়ে গেল।
কিছুক্ষণ নীরবতায় কাটল।
নাহ, আর থাকা যাচ্ছে না, কোথা থেকে যেন একটা পচা গন্ধ আসছে।
ভাই।
বলেন।
গন্ধ পাচ্ছেন?
কিসের?
একটা পচা গন্ধ।
না তো।
বলেন কি? এমন তীব্র গন্ধ আপনি পাচ্ছেন না? আপনারটা কি নাক না অন্য কিছু?
কি জানি। বিড়ি খাইতেছিতো, আমার চারপাশে বিড়ির ধোঁয়া। গন্ধ থাকলেও কাছে আসতে পারতেছে না।
দেন ভাই, আমাকেও একটা ভেজা বিড়ি দেন। এই পচা গন্ধ আর সহ্য হচ্ছে না।
বিড়ি নেয়ার জন্য আমি উঠে দাঁড়ালাম।
তখনই দূরে কোথাও বজ্রপাত হল, বিদ্যুতের ঝলকানি অন্ধকার সেলটা আলোকিত হয়ে গেল।
যা দেখলাম, তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
আমার দিকে বিড়ি বাড়িয়ে ধরেছে একটা পচা গলা লাশ।
দবির মাঝি।আমার চুরি করা প্রথম লাশ!
পাঁচ
কটা বাজে? সময় কত হল?
এই অন্ধকার লকআপে সময় বোঝার কোন সুযোগ নেই।
আমি উঠে বসলাম।
উফফ, কি ভয়ানক স্বপ্ন। দবির মাঝির পচা গলা লাশ আমার সাথে এক লকআপে। আশেপাশে তাকালাম ভাল করে। ঘুটঘুটে অন্ধকার চারিদিকে। বিদ্যুৎ চলে গেছে মনে হয়। তবে এতটুকু নিশ্চিত, এই অন্ধকার কারাগারে আমি ছাড়া আর কেউ নেই।
শিক ধরে দাড়ালাম।
বাইরে হালকা আলো দেখা যাচ্ছে, সেই সাথে শোনা যাচ্ছে কেমন যেন গোঙ্গানির শব্দ।
নাসির ভাই। আমি ডাকলাম।
কোন সাড়াশব্দ নেই।
নাসির ভাই। আমি আবার চিৎকার করলাম।
বলার সাথে সাথে নাসির ভাই হাজির। হাজির না, বলা ভাল কে যেন নাসির ভাইকে লকাপের সামনে ছুড়ে মারল। বাউন্ডারী লাইন থেকে বোলাররা যেভাবে থ্রো করে, ঠিক সেভাবে। দেয়ালের সাথে বাড়ি খেয়ে গোঙ্গাতে শুরু করল আমার ভাইটা।
ভাই। আমি ডাকলাম। একি অবস্থা আপনার?
আশিক।
বলেন ভাই। আপনাকে এভাবে ছুড়ে মারল কে?
পালা। জলদি পালা। যেভাবে পারিস... পুরো কথাটা শেষ করতে পারলেন না নাসির ভাই। হঠাৎ-ই রক্ত বমি করতে শুরু করলেন।
ভাই, এসব কি বলতেছেন? পালাব কেন? আপনার কি হইছে? এমনে রক্তবমি করেন কেন?
আমাদের থানাটা লাশেরা মিছিল করে ঘিরে ফেলছে। তোকে সাথে না নিয়ে ওরা ফিরবে না। যেভাবে পারিস পালা, নাহয় কেউ পার পাবে না... ...
===================================================================
আমার লেখা অন্যান্য ভৌতিক গল্পগুলোঃ
১.পিশাচ কাহিনীঃ রক্তখেকো ডাইনী পর্ব-১ পর্ব-২ পর্ব-৩
২.পিশাচ কাহিনীঃ জানোয়ারের রক্ত (১৮+)
৩.পিশাচ কাহিনীঃ অন্ধকারে বিলীন
৪.পিশাচ কাহিনীঃ হোটেল একশ তলা
৫.পিশাচ কাহিনীঃ একশ তলায় আবার
৬.পিশাচ কাহিনীঃ রাতের আঁধারে
৭.পিশাচ কাহিনীঃ কন্ঠ
৮.পিশাচ কাহিনীঃ অতিথি
৯.পিশাচ কাহিনীঃ কান্নার শব্দ
১০.পিশাচ কাহিনীঃ শয়তানের পাল্লায়
১১.পিশাচ কাহিনীঃ নির্ঘুম রাত
১২.পিশাচ কাহিনীঃ জঙ্গল মঙ্গলপুর
১৩.পিশাচ কাহিনীঃ একটি ফটোগ্রাফ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৮