কোটি টাকা খরচ করে
পেয়েছি মন্ত্রীর চেয়ার।
সুদ সমেত তা উঠিয়ে নেব না
কেমনে হয় তা ফেয়ার?
তাই বিশ্বব্যাংক আর পদ্মা সেতুর
টাকা খাওয়ার করলাম ডেয়ার।
বিনিময়ে মন্ত্রীত্ব হারালাম
একেবারে দেন এন্ড দেয়ার।
টাকা কি আমি একা খেয়েছি?
আরো অনেকে পেয়েছে শেয়ার।
বিপদের দিনে তারা আমাকে
করল না একটু পেয়ার।
টাকা খেয়ে মন্ত্রীত্ব হারালাম
এমন ঘটনা দেশে রেয়ার।
আবুল মালঃ
নামটি আমার আবুল মাল
চুলের মত
মাথায় মাল নেই অত
তাই সবাই আমায় পার করে খাল।
মন্ত্রীত্ব নিতেই
শেয়ার বাজার ভর্তি ফটকাবাজে,
হলমার্ক নিয়ে কথা বলে
আবাল প্রমানিত কথা আর কাজে।
নেত্রীর কাছে প্রিয় হতে
ইউনুসকে দিলাম খোটা
পাত্তাতো পেলামই না কারো কাছে
সবাই কয় আমি মাথা মোটা।
দেশে কোন বিনিয়োগ নেই
তোমরা কি দেখতে পাও না?
ইউনুস ছাড়া দেশ এগিয়ে যাক
তা কি তোমরা চাও না?
আবুল হাসানঃ
নামটি আমার আবুল হাসান
বলের গতি বেশ।
আমার গতির সামনে
প্রতিপক্ষ শেষ।
ক্যারিবীয়দের দমাতে
সুযোগ এল দলে
ভেবেছিলাম কাপিয়ে দেব
আগুন ঝরাব বলে।
সেই আশা নিয়েই
নেমে গেলাম মাঠে।
কিন্তু এ কী? আমার ব্যাটিং দেখে
ক্যারিবীয়দের বুক ফাটে।
চার ছয়ের ফুলঝুড়িতে
হাকিয়েছি সেঞ্চুরী
নারিন-এডওয়ার্ডস কি আর করবে?
বসে বসে খেল মুড়ি।
রানের নেশায় মাতাল আমি (কুসুমের রান না কিন্তু )
ছুরির মত চলে ব্যাট
আবুল মাল বা আবুল হোসেন নই
Always mind that.
আর সবার শেষে বোনাস হিসেবে একটি কৌতুকঃ
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচন। সিলেটের জনৈক আওয়ামীলীগের প্রার্থী নিজের ভোট দিয়ে নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের হয়েই হঠাৎ চিৎকার দিলেন। চমকে উঠলেন আশে পাশের সবাই। চোখে চশমা না থাকায় উক্ত প্রার্থী নিজের (আওয়ামীলীগের) চিহ্ন নৌকায় ভোট না দিয়ে বৈঠায় ভোট দিয়ে ফেলেছেন। পরে প্রিসাইডিং অফিসারকে অনুরোধ করা হয়েছিলো যেন আবার ভোট দেবার সুযোগ দেয়া হয়, কিন্তু তা ফলপ্রসু হয়নি। সিলেটে এ নিয়ে বেশ চান্চ্যল্যের সৃষ্টি হয়, আন্চলিক খবরের কাগজেও এ নিয়ে খবর প্রকাশ হয়। সে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি এবং তথাকথিত একজন ভাঁড়ে পরিনত হন। প্রার্থীর নাম জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সিলেটে তিনি "মাল" মুহিত নামে পরিচিত।
**কৌতুকটি নেয়া হয়েছে ব্লগার বিডি আইডলের পোস্ট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২৮