স্কুলে থাকতে অর্থনীতিতে পড়ছি, "বাজারে কোন পণ্যের চাহিদা বাড়লে উৎপাদন বাড়ে, ফলে যোগান বাড়ে আর ফলে দাম কমে।"
কিন্তু বাস্তবে দেখলাম পুরাই উলটা।
বুয়েটে যখন ব্র্যাকনেট ছিল তখন Qubee মডেমের (rover 4g) এর দাম ছিল ১৫০০ টাকা।
গত জুলাই মাসের ৫ কিংবা ৬ তারিখে ব্র্যাকনেট বুয়েট ছেড়ে পালায়।ব্র্যাকনেটের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছিল অচিরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো থেকেও তাদের প্ল্যান আছে(এখনো পালিয়েছে কিনা আমি জানিনা)।
যেহেতু বুয়েটে হলগুলো ওয়াইফাই করা নয়, তাই এক্ষেত্রে ওয়াইম্যাক্সই ছিল ভরসা।এর মধ্যে BanglaLion ( WIMAX INTERNET) এর নেটওয়ার্ক বুয়েটে সেরকম খারাপ।আমার পাশের রুমের এক জুনিয়র সারাক্ষন তার ল্যাপটপটা কোলে নিয়ে বারান্দায় বসে নেট ব্যবহার করে। আমি এবং আমার মত যারা ডেস্কটপ ব্যবহার করে (আমার মনে হয় বুয়েটে ০৭ ও ০৮ ব্যাচের অধিকাংশেরই ডেস্কটপ, ল্যাপটপ সংস্কৃতি শুরু হয়েছে মোটামুটি ০৯ ব্যাচ থেকে) তাদের পক্ষে বাংলালায়ন ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
ফলে কিউবির চাহিদা বেড়েছে হুহু করে।এই পরিস্থিতিরই সুবিধা নিয়েছে কিউবি। তারা প্রথমে তাদের মডেমের দাম বাড়িয়ে ১৫০০ থেকে করেছে ২০০০ (আমি নিজেও কিনেছি ২০০০ টাকায়) আর আজ জানলাম ১লা অক্টোবর থেকে এই মডেমের দাম বেড়ে হয়েছে ২৫০০ টাকা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
চাহিদা বাড়ার ফলে কোথায় কিউবি দাম কমিয়ে তার গ্রাহক বাড়াবে তা না, উলটো যত পারছে দাম বাড়াচ্ছে।শুধু মডেমেরই দাম বাড়ছে তা-ই নয়, চাহিদা বাড়ার ফলে তারা তাদের স্টুডেন্ট প্যাকেজের নতুন সংযোগ বিন্ধ করে দিয়েছে(মাসিক ৬০০ তাকায় ১০ গিগা)। মাসিক ৫০০ টাকায় ৩ গিগার প্যাকেজে কোন ভ্যাট না কাটলেও বাকি প্যাকেজগুলোতে আছে ভ্যাটের বাঁদরামি।
আজব এক মগের মুল্লুকে বাস করি।সবই চোখের সামনে ঘটছে, কিন্তু কারো কোন মাথা ব্যথা নাই ...
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৭