ভূমিকম্প ছাড়াই কেপে উঠল চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দরহাট এলাকা
জুমার নামাজ আর ছুটির দিন হওয়ায় ভয়াবহ প্রানহানী থেকে রক্ষা পেল চট্টগ্রাম!!
পাশের মসজিদে ইমাম সাহেব জুমার খুতবা শেষ করে নামাজের জন্য দাড়িয়ে আল্লাহু আকবর বলে নিয়ত করলেন। আর সাথে সাথে বিকট আর ভয়ংকর এক শব্দ ভেসে আসলো মুসুল্লিদের কানে। অনেক মুসুল্লি ভেবেছিল বোধহয় ভুমিকম্পে কোন বিল্ডিং ধ্বসে পড়েছে। কিন্তু না নামাজ শেষে যখন তারা বাহিরে দ্রুত বের হল কি ঘটেছে দেখতে তাতে তাদের চক্ষু আকাশে উঠলো। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে শুক্রবার দুপুরে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার থেকে ১৩০ ফুট দীর্ঘ একটি কংক্রিটের বিশাল গার্ডার ভেঙে পড়ার শব্দ ছিল সেটি। আল্লাহর অসীম করুণায় রক্ষা পেল অনেকগুলো তাজা প্রান। কেন্না এই ফ্লাইওভারেরনিচে সাধারণত সারাদিন জ্যাম লেগে থাকে এবং প্রচুর মানুষ যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু আজকে সেখান দিয়ে কোন গাড়ি এবং মানুষ যাতায়াতরত ছিলোনা। তবে এক রিকশাচালক গুরতর আহত হন।
ভেবে অবাক হয় ফ্লাইওভারে গাড়ি উঠার আগেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কি হবে? কোন সভ্য দেশে এই ঘটনা হলে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরাধে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়ার এর ফাসি হয়ে যেত, আফসোস আমাদের দেশে কিছু হবেনা! এত নিম্নমানের কাজ কিভাবে মানুষ করতে পারে??
***উল্লেখ্য সিডিএর তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনা ২০০৯ সালের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ পাঁচটি ফ্লাইওভারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ফ্লাইওভারের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। পারিশা এন্টারপ্রাইজ ও মীর আক্তার এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণ কাজ করছে
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১২ রাত ১:৩২