কিছুদিন ধরে ফেসবুক আবার গরম হয়ে উঠেছে রজনীকান্তকে নিয়ে। একজন মানুষের পক্ষে বাস্তবে ঠিক কি কি করা সম্ভব আর রজনীকান্ত এই ষাট বছর বয়সে নায়ক হিসেবে কি কি করে চলেছেন আর বাস্তবতার সাথে তার কত মাইল পার্থক্য তাই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।এবার ঈদের এক সিনেমার ট্রেইলরে দেখলাম শাকিব খানও তামিল মুভির স্টাইলে ভিলেন্দের পেটাচ্ছেন।
আমি সেদিকে যাব না। আপনার কাছ থেকে ২-৩ মিনিট সময় চাচ্ছি।। আজ আপনাদের একজন Real Hero এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।।
একজন মানুষ যিনি প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন।।
জেমস হ্যারিসন, একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক যার রক্তে এমন একটি অ্যান্টিবডি ছিলো যা অ্যানিমিয়া(যেই রোগে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি করতে পারে না) নামক রোগ থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারতো।। এই অ্যান্টিবডি ছোট বাচ্চাদের রেসাস ডিজিজ(এই রোগে বাচ্চার রক্ত মায়ের রক্ত থেকে ভিন্ন হয়।। যেমন, মা যদি রেসাস নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের অধিকারী হয়, তবে বাচ্চার রক্তের গ্রুপ হয় রেসাস পসিটিভ।। ফলশ্রুতিতে, মা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডি বাচ্চার রক্তে হামলা চালায়।।) এই রকম বাচ্চারা সাধারণত মারা যায়।। মারা যাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারন হলো, ব্রেইন ড্যামেজ।।
হ্যারিসনের প্রায় ৫৬ বছর যাবত রক্ত দিয়ে যাচ্ছিলেন।। যখন তার বয়স ৭৪ বছর হয়, ততদিনে তিনি সর্বমোট ৯৮৪ বার রক্ত দিয়ে দিয়েছেন এমনকি তখনো দিচ্ছেন!! এই সময়ের মধ্যে উনার এই মহৎ উদ্যোগ প্রায় ২ মিলিয়ন বাচ্চার জীবন বাঁচিয়েছে।। যখন হ্যারিসন প্রথম রক্ত দেয়া শুরু করেন, তখন তার রক্ত এতো বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা হয় যে, তার নামে ১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের জীবন বিমা করা হয়।। তার রক্ত পরবর্তীতে অ্যান্টি-ডি নামক একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যাবহার করা হয়।।
জেনে খুশি হবেন, এই অ্যান্টি-ডি ভ্যাকসিন ব্যাবহারের কারনে ১৯৭৭ সাল থেকে রেসাস ডিজিজে বাচ্চাদের মৃত্যুহার প্রায় ৯০% কমে গেছে।।
এই মহান ব্যাক্তির প্রতি রইলো আমার অশেষ শ্রদ্ধা এবং শুভকামনা!!
।। পৃথিবীর বিস্ময়কর কিছু সত্য ঘটনা এবং মজার সব তথ্য ।। ফেসবুক পেজ থেকে
আমার পার্সোনাল ব্লগে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১