শোক দিবসের অনুষ্ঠান করতে হলে নিজেদের টাকা দিয়ে করবেন। চাঁদাবাজি করে নয়। এই শোকের মাসে চাঁদা তুলে বঙ্গবন্ধুর সম্মান নষ্ট করবেন না। এতে তাঁর আত্মা কষ্ট পাবে।
শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনগুলোর মাসব্যাপী শোক দিবসের অংশ হিসেবে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু সমাজকল্যাণ পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার বা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করতে সমস্যা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কারণ তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে।
ওবায়দুল কাদের এগুলা কি বললেন???
আন্ডারলাইন করা লাইঙ্গুলো খেয়াল করুন।
-- এই শোকের মাসে চাঁদা তুলে বঙ্গবন্ধুর সম্মান নষ্ট করবেন না। এতে তাঁর আত্মা কষ্ট পাবে।
বংগবন্ধু কি তবে চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ আগস্ট মাস ছাড়া ছাত্রলীগ বাকি ১১ মাস চাদাবাজি করুক??? বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই জানতেন না তিনি আগস্ট মাসে মারা যাবেন।তাহলে তিনি চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ সারা বছর চাদাবাজি করুক। কি উদ্ভট কথা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ছাত্রলীগকে থামান। নাহয় বসে বসে মাগুর মাছ খান। উলটাপালটা ডায়লগ দিবেন্না।
-- কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না। কারণ তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে।
স্বীকার করি বঙ্গবন্ধু ছাড়া হয়ত এত দ্রুত স্বাধীনতা আসত না। কিন্তু তাই বলে কি তার স্বাধীনতা পরবর্তী কর্মকান্ড নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না??? আমরা কেউই পারফেক্ট নই, সুতরাং কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নই। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে অপ্রয়োজনীয় টানাটানি ও কাদা ছোড়াছুড়ি তা অবশ্যই নিন্দনীয়, তবে গঠনমূলক ও শালীন ভাষায় সমালোচনা করা যেতেই পারে।গণতন্ত্রকে মেনে নিলে জনগনের সমালোচনাকেও মেনে নিতেই হবে।
এই সেই খবরের লিঙ্ক