পশ্চিমের দিকে তাকাতে,
হাহাকার করে ওঠে আমার আদ্যোপান্ত,
ও পথেই তুমি ফিরে গিয়েছিলে-
নদীর স্ফীতোদর পারে,
মিষ্টি দুর্বার প্রান্তরে,
যে দেশে আমি নেই,
যেখানে বুনোহাঁসেরা প্রাণের সুখে রবিস্নান সারে,
আঁশটে গন্ধ পড়ে যাওয়া শার্শিতে মরিচা ধরে আছে,
ওতে লেখা,
"গুটেন মর্গেন জেনোসেন"
ঠিক যেন বাচ্চা হাঁসের মতো,
দিগন্তের গাঙচিলের মতো-
শুভ্র,সাদা, আদুরে।
লাল, সাদা আর সবুজ তারার ফুলঝুরি মেলে,
মাথার পড়ে নেমে আছে দিগন্ত,
এসব দেখে আমার বোধ হয়,
আমার হয়তো ক্লসট্রোবিয়া আছে!
তোমায় হাপাতে দ্যাখার ফোবিয়া,
তোমার নাকের রূপালি ঘাম ছোঁবার ফোবিয়া,
পূর্ণিমা রাতে চেরী গাছ ফুলে ফুলে
রূপালি হলে অপার্থিব লাগে সবটা-
তোমার তৃষ্ণার্ত আবির রাঙা মুখশ্রীতে,
রূপালি ঘাম গুলো দেখতে ঠিক চেরী ফুলের মতো,
প্লাবনের ঢেউয়ের মতো,
অমোঘ নিয়তির মতো,
সবকিছু ঠেলেঠুলে তোমায় যখন ক্লান্তি গ্রাস করে,
আমার তোমাকে হাপাতে দেখতে ইচ্ছে হয়,
আকণ্ঠমগ্ন হয়ে নিশ্বাসের সুরলোকে ডুব দিতে মন সায় দেয়,
যেন কতোকাল হয়েছে আমি কেবল শুনেই যাচ্ছি, পান করছি কোনো অমৃতরস;
ফ্যাঁকাসে আলোর নরম সকালে কপালে ওষ্ঠ ঠেকিয়ে বলতে হয়,
"গুটেন মর্গেন জেনোসেন, প্রিয় "
রাতের টিমটিমে নক্ষত্র ও বোঝে,
এতে ভালোবাসা মিশে আছে,
পাহাড়ের কোমল নীল রং যেমন ছুঁয়ে যায় ধূসর সবুজ পাইন গুলোকে,
নির্বিকার দুপুর রোদের ঝকঝকে আকাশকে বলতে থাকি,
আমরা ভীষণ সুখী,অতি নির্বিকার আকাশের মতো,
তবু-
হাত টুকু ছোঁবার তৃষ্ণাতে আমায় খাঁক হতে হয়,
একবার,
দুবার,
শতবার।
রুদ্র পলাশ,শিমুল আর আমার প্রিয় কৃষ্ণচূড়া,
ওরা যেন দেখতে ঠিক অবিকল তোমার মতো!
তোমার মতো ওদের জন্যেও আমার তৃষ্ণা জাগে,
মানুষ হিসেবে প্রিয়জনের কাছে আমরা বড্ড অসহায় যে!
১৯ এপ্রিল,২০১৫
বুধবার,রাত ১১:০৬ মিনিট।