তাহাকে যেদিন প্রথম চিনেছি,
দেখেছি তাহাকে প্রথম,
বুঝতে আমার রয়নি বাকি,
নেই তার কোনো অহম।
ধনুকের ন্যায় ছিলো তাহার ভ্রু এক জোড়া নিখুঁত,
মায়াময় হাঁসি করে গিয়েছে খেলা ,
আবৃত করে চিবুক।
রুগ্ন শরীর,শীর্ণ বক্ষ, ঢোলা তাহার জামা প্যান্ট,
দেখতে গিয়েছি ছবি তার সাথে,
বিদ্যা অফ অ্যান্ট।
বাচ্চা সুলভ শরীরে তাহার ,
আনন্দ করেছে খেলা,
আজ বুঝি জগতে বসেছে,
আনন্দ বিলাবার মেলা।
হলের ঐ বারান্দাতে ছিলো সন্ধ্যা মালতীর আসর,
সেখানে মেলেছে প্রকৃতি এক দীর্ঘ মেয়াদী পসর।
জোড়া প্রজাপতি উড়েছে সেখানে,
আয়নায় শত কাঁচ,
কাঁচের মাঝে খুঁজেছে বিম্ব,
ভুলে শরম, লাজ।
এসির মাঝেতে পাখির এক নীড় দেখেছি সবে,
যোগার হয়েছে মালতীর বীজ,
পাগলামির অন্তরালে।
মেঝেতে তখন ধুলো মাখামাখি,
বাহিরে সোনালী আলো,
পাজামাতে ধুলো, নখেতে ময়লা,
নয় সে তাতে ব্যতিব্যস্ত।
হাঁটতে হাঁটতে পৌছেঁছি সেই,
অদূর এক দিগন্তে,
জোড়া ঘুঘু বসেছিলো ঐ,
তারের শেষ প্রান্তে।
পড়েছিলো এক নিরীহ কাঠ গোলাপ রাস্তায় অবহেলায়,
তুলেছো তাহারে যত্ন করে, দিয়েছো অবলীলায়।
মেঘের নাকি দায় নেই কোনো,
বাগানের টুনটুনির কাছে,
তবে টুনটুনি অপেক্ষায় থাকে,
কার সে অভিপ্রায়ে?
একরাশ দাঁড়ি , মাথায় কোঁকড়া ঝাঁকড়া বাহারী চুল,
বালক... আমায় ভালোবাসি বলে,
করেছো মস্ত ভুল।
২০/১১/১৪