আজকের পূর্ব পর্যন্ত কোন বর্ষপূর্তি পোস্ট দেইনি। দেখতে দেখতে ব্লগে ৫ বছর পার হয়ে গেল। প্রেম শিরোনামের পোস্টটিই আমার ষষ্ঠ বছর এর প্রথম পোস্ট-এ শেষ হল।
প্রেম (প্রথম অংশ)
প্রেম (দ্বিতীয় অংশ)
সত্যিকার প্রেম মানুষকে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উঠতে চরিত্রবান, মানসিক শক্তি ও সূক্ষ্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়তা করে। পুরোনো একটা গল্প। রাজার মেয়েকে সাধারণ এক ছেলে পছন্দ করে প্রস্তাব দেয়। রাজা বলে একাধারে চল্লিশ দিন যদি সবার আগে মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় কর এবং সবার শেষে বের হও তবে তোমার সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দিব। ছেলেটি সত্যিকার প্রেমের কারণে রাজার প্রস্তাবে রাজি হয়। চল্লিশদিন যাওয়ার পর রাজার মেয়ের কথা তার মনে থাকে না। এরপর রাজা এসে ছেলের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে দেয়। সত্যিকারের প্রেম কখনো ধ্বংসের পথে পরিচালিত করে না। অথবা ধ্বংসাত্নক কাজে সহায়তা করে না। পৃথিবীতে কিছু মানুষের দৃষ্টান্ত আছে যারা নিজেকে এক জনের প্রেমে বন্দি করে রেখেছে। প্রেমিক বা প্রেমিকাকে না পেয়ে কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে। তারা নিজেরাই বোঝতে পারছে- কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখে সান্তনা পাচ্ছি, কিন্তু শান্তি পাচ্ছি না। তবুও অন্য কারও প্রেমে নিজেকে জড়াতে চাচ্ছি না এবং ইচ্ছাও করছে না।
বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে প্রেম আসে বলেই প্রত্যেকটি মানুষ নিজেকে জানতে, বোঝতে ও উপস্থাপন করতে চেষ্টা করে। প্রিয় মানুষটির জন্য নিজেকে আলাদা করে বাকি জীবনে শিক্ষা, দৈহিক ও আর্থিক সঞ্চয় সংগ্রহ করার অনুপ্রেরন পায়। এ অনুপ্রেরনা কাউকে দিতে হয় না। নিজে নিজের বুদ্ধি, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি হয়। প্রেম না থাকলে পৃথিবীটা নিরস, অলস ও অর্থহীন হয়ে পড়ত। প্রেম মানুষকে কখনো ভাঙ্গতে শিক্ষা দেয় না, শুধু গড়তে শিক্ষা দেয়।
শেষ করছি ডা. লুৎফর রহমানের ‘প্রেম ও যৌবন’ প্রবন্ধের শেষ প্যারা দিয়ে ‘‘সেবাকারিনী যখন ঔষধ-পথ্য নিয়ে তার পত্নীর কাছে উপস্থিত হলেন, মহৎ হৃদয় প্রেমিকা পত্নী বললেন-আমার জন্যে কোনো সেবা-যত্নের প্রয়োজন নাই- আমার স্বামীর জীবন রক্ষা করুন। এই কথা বলেই তিনি প্রাণত্যাগ করলেন।’’
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ ভোর ৬:১০