প্রেম (প্রথম অংশ)
তিনি তৃতীয় প্যারায় লিখেছেন ‘‘অশিক্ষিত সমাজ যুবক-যুবতীকে হাটের গরুর মতো বিক্রি করে জীবনে তাকে পঙ্গু-অলস পশু করে ফেলে। ফলে তা জীবনে কোনো রসানুভূতি থাকে না। বলহীন, সাধনাহীন, পশু সে কামনা করে। গোবেচারী বোকা সহজ মানুষ যারা,- তারা জীবনকে অবস্থার সঙ্গে মানানসই করে নেয়। আত্মায় যাদের আগুন আছে তারা এ জগতের আশা, বাসনা, আনন্দ, আকাঙক্ষা ত্যাগ করে মহত্ত্বের শান্তি পেতে পরকালের জন্য সহিষ্ণু হয়ে অপেক্ষা করেন। অথবা একটা বৃহৎ ত্যাগ ও বৈরাগ্য তাদের জীবনকে কঠিন যন্ত্রণা দেয়। না হয় সে উচ্ছৃঙ্খল, বেশ্যা, বেশ্যাসক্ত, পথহারা, বাঁধনহারা যথেচ্ছাচারী জীবন যাপন করে। শেষকালে হয় পথে, না হয় ঘরে সান্ত্বনাহীন, আনন্দহীন, দুঃখের মরণ মরে।’’
বয়ঃসন্ধিকালের পূর্বেই মায়ের (মা না থাকলে যিনি অভিভাবক) বলা উচিত তাকে যেন সব কথা জানায়। তা না হলে যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে। যার ভোগান্তিতে মায়ের যতটা না আঘাত লাগবে তার চেয়ে সন্তান ফল ভোগ করবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে। এ সময় ছেলে ও মেয়ে বিভিন্ন দিক চিন্তা করে লজ্জায় প্রেমের কথা বা ভাল লাগার কথা বলতে চায় না। আত্নদ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত হয়। মানসিক চাপ ভর করে। সাহস দিলে বলতে পারে। এ কাজটা মা করতে পারলে সব চেয়ে ভাল হয়। তবে কখনো রাগ করে নয়। এতে করে হিতে বিপরীত হবে। এ সময় ছেলে মেয়ের মধ্যে যেমন রাগ ও জেদ বেশি থাকে। তেমনি কোমল স্বভাবও থাকে।
এ সময় প্রেম নিয়ে ছেলেরা এক জন অন্যজনকে ক্ষেপায়। এমনও হয় যাকে সে অপছন্দ করে তাকে নিয়েও ক্ষেপায়। মেয়েদেরকে ছেলেরা বেশি বিরক্ত করে। কোন কোন সময় বড়রা মেয়েদেরকে প্রেম করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মেয়েরা সমস্যায় শিকার হওয়ার পর সচরাচর বলতে চায় না। বলার কারণে আরও সমস্যার শিকার হবে ভেবে। মা যদি সাহস দিয়ে সব কথা খোলাখোলি জানতে চায় তবে বলবে। এক্ষেত্রে মা ভাল সিদ্ধান্ত দিতে পারে এমন উদাহরণ থাকতে হবে। না হয় কিছু কথা বলবে না। এজন্য মাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয় অযথা কাউকে কিছু যেন না বলে। আজকাল অনেক ছেলে ও মেয়ে দেখছি কোন ছেলে বা কোন মেয়ে বা এলাকার কে কি বলছে অথবা চিঠি দিয়েছে আদর্শ মা হওয়ার কারণে সব দেখাতে ও জানাতে সাহস পাচ্ছে এবং দেখাচ্ছে ও বলেও দিচ্ছে। যা-ই হোক, মা সন্তানকে ভবিষ্যতের কথা স্মরণ করিয়ে উৎসাহ দিতে পারে।
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৯