বাসচালক আনোয়ারের
লাইসেন্স জাল ছিল। বাস কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। বরঙ্গাইল হাইওয়ে থানার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, 'বাসচালক আনোয়ার হত্যার উদ্দেশ্যেই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তদন্তে নিশ্চিত হয়ে আমরা হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছি।' তিনি জানান, দণ্ডবিধির ২৭৯/৩০২/৩৩৮(ক) ৪২৭ ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এতে বেপরোয়া ও বিপজ্জনক গতিতে যানবাহন চালিয়ে হত্যা, গুরুতর জখম ও ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুর্ঘটনার মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর প্রসঙ্গে রফিকুল ইসলাম বলেন, 'চালকের যেহেতু লাইসেন্স ছিল না তাই তার বিরুদ্ধে দুর্ঘটনাজনিত অপরাধে অভিযোগপত্র প্রদানের কোনো সুযোগ নেই। লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও চালক বেশে গাড়ি চালিয়ে সে সরকারের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হত্যা ও অপর দুজনকে গুরুতর জখম করেছে।'
আদালত পরিদর্শক শামছুল আলম জানান, চার্জশিট পাওয়ার পর বিকেলে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে (আমলি আদালত-৩) চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করে আগামীকাল শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
৩১ জুলাই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রাজিয়া বেগম এবং বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাদের দেহরক্ষী ও গাড়ির চালক। রাজিয়া বেগম ও সিদ্দিকুর রহমান একটি পাজেরো গাড়িযোগে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। বিপরীতমুখী ঢাকাগামী 'দ্রুতি পরিবহনের' একটি বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী পাজেরো জিপটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ওই ঘটনায় বাংলাদেশ কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) সহকারী মহাব্যবস্থাপক সামছুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় মামলা করলে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় বরঙ্গাইল হাইওয়ে থানাকে
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সচিব নিহত
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:৫১