নতুন ভোটার আইডি কার্ডে পেশা হিসাবে পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিবিসি অনলাইন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তি আইনত বৈধ হলেও এখনো পর্যন্ত এই কাজকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এদিকে পতিতাদের নিয়ে কাজ করেন এমন কিছু ক্যাম্পেইন গ্রুপ নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এতে বিভিন্ন অফিস এবং সরকারি কর্মক্ষেত্রে যৌন কর্মীদের সমস্যা লাঘব হবে। যৌন কর্মীরা বছরের পর বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অবমাননা ও হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। কিছু দাতা সংস্খা জানিয়েছে, যৌন কর্মীরা পুলিশ এবং খদ্দেরদের হাতে পর্যন্ত অপমানিত, কলঙ্কিত ও প্রহৃত হয়ে থাকে। তাদের মতে, এ পেশায় মহিলারা কঠিন পরিস্খিতির মধ্যে কাজ করে এবং সমাজে তাদের আরো বেশি করে অধিকার দেয়া জরুরি। নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বিবিসিকে বলেন, ‘যৌন কর্মীরা ভোটার আইডি কার্ডে পতিতাবৃত্তিকে তাদের পেশা হিসাবে উল্লেখ করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন এই বিষয় অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এ পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ডে ২৫টি পেশা স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু নতুন করে আরো বেশ কয়েকটি পেশা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সাংবাদিক, পুরোহিত ও মানবাধিকার কর্মীদের পেশা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে পতিতাদের নিয়ে কাজ করেন এমন ক্যাম্পেইন গ্রুপগুলোর হিসাব মতে, মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে প্রায় দুই লাখের মতো পতিতা এবং অগণিত বেশ্যালয় রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৫৮