গত বিশ্বকাপটা আমাদের ক্রিকেটকে সমূলে পাল্টে দিয়ে গেল। ইনফ্যাক্ট তার মাসখানেক আগে থেকেই জয়ের নেশা রক্তে দানা বাধতে শুরু করেছিল। বিশ্ব ক্রিকেট এখন এক অন্যরকম বাংলাদেশকে চিনে। একটা সময় ছিল বাংলাদেশের খেলা কোন চ্যানেলে দেখাতো না। ঝিরঝির বিটিভিতে বাশার, আশরাফুলদের ঝাপসা চেহারাটা দেখার জন্য লম্বা বাঁশের এন্টেনা ঘুরাতে ঘুরাতে হাতে ফুসকা পড়ে যেত! একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আর আজ বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের খেলার আপডেটও আইসিসির অফিশিয়াল পেইজ ঘন্টায় ঘন্টায় সাসপেন্স মিশিয়ে আপডেট করে। আমরা নাইন্টিজের বাংলাদেশ ক্রিকেট কে দেখে আসছি বলেই আবেগটা হয়ত একটু বেশি। বারমুডার সাথে খেলা হলেও মিনিটে মিনিটে স্ট্যাটাস আপডেট না করে থাকতে পারি না। জানি সবাই অনেক বিরক্ত হয় তারপরও নিজেকে আটকে রাখতে পারি না। হয়ত খুব ছেলেমানুষি লাগছে শুনতে। ওই সময়টায় বাংলাদেশের পরাজয় দেখতে দেখতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম মাঝে মাঝে নিজেকেই যুদ্ধে গো হারা হেরে কোনমতে প্রাণ নিয়ে বেচে আসা পরাজিত ভিতু মনে হত। তাই এখনের এক এক জয় (হোক সেটা জিম্বাবুয়ের সাথে) রক্তের প্রতি কনায় কনায় অনুরণন বোধ করিয়ে যায়। মস্তিষ্কের নিউরনকে মাদকের চেয়েও কঠিন নেশায় বুদ করে রেখে যায়। আজও মনে পড়ে একবার কুরবানির ঈদের আগের রাতে কানাডার সাথে হেরে ক্ষনিকের জন্য কি এক বেচে থেকেও মৃত সময় পার করে এসেছি। আর বেশিকিছু লিখতে পারছি না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাত সমুদ্র আর তের নদী পার হয়ে আসা গল্পের একজন সাক্ষী পাগলা ভক্ত হিসেবে এখানেই আমার সীমাবদ্ধতা। এর চেয়ে বেশি হলে চোখের নিচে গরম কিছুর উপস্থিতি টের পাব আর তখন চোখে কিছু পড়েছে বলে মিথ্যাচার করা ছাড়া আর কোন উপায়ান্তর থাকবে না।
৫ টি কন্সিকিউটিভ সিরিজ উইন!!
এর পরে আর বলার কিছু থাকে না।
#riseofthetigers
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫