আজ অনেকদিন পর একটু ঢুঁ মারার উদ্দেশ্যে লগইন করতেই সাইডবারের ব্লগ লিখছেন পরিসংখ্যানটায় চোখ আঁটকে গেল। এক মুহূর্তের জন্য যেন অন্য এক ভাললাগার ভুবনে ডুবে দিলাম! আমার মত ছাপোষা টাইপের লেখকদের বুঝি এটাই এক ধরনের ইউনিক কোন বৈশিষ্ট্য যে লেখালেখির অতি নগণ্য কিছুতেই মণটা হঠাত চনমনে হয়ে উঠে। কাল সকাল ৮ টায় Management Information System (MIS) বিষয়ের একটা কুইজ। এক রকম ফ্রাস্ট্রেশানে ভুগছিলাম কিন্তু এখন হঠাত করেই সেটা কোথায় যেন উবে গেল!
সত্যি বলতে আমি আমার একান্ত নিজের কথাগুলো নিজের মাঝে চেপে রাখতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে একটা বিষয় আজকের এই মুহূর্তে শেয়ার না করে আর পারছি না। মানুষের প্রতিটি কাজের পিছনেই কম করে হলেও একটি অন্তত কারণ থাকে। আমার আজকের এই নাম বিশেষণ ব্লগার হয়ে উঠার পিছনের কারণটি হচ্ছে আমার পাগলীটা। তাকে নিয়েই জীবনের প্রথম আষাঢ়ে গল্পটি লিখে ফেলেছিলাম। তারপর কিভাবে কিভাবে যেন লেখালেখিটাকে এক রকম হবি ভাবতে শুরু করে দিলাম! তারই ধারাবাহিকতায় গত দুইটি বছর খুব এক্টিভ ছিলাম। কিন্তু ঐযে আমি কোন জাত লিখিয়ে নই আর আহামরি প্রতিভাধর সৌভাগ্যবানও নই তাই পরিচিতিটাও গন্ডির ভিতরেই রয়ে গেছে। সামুতে খুব কম মানুষের সাথেই মোটামোটি রকমের ইন্টারঅ্যাক্ট করার সুযোগ হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আমার ফেসবুকের বন্ধু তালিকাতেও আছেন। তবে বিষয়টাকে আমি একেবারেই নেগেটিভ ভাবে নিতে রাজি না। সত্যি বলতে কোন রকম প্রত্যাশা বা প্রাপ্তির ইন্টেনশান নিয়ে এখানে নাম লেখাইনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাপ্তির ব্যাপারটা থেকেই যায়, অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি। এটা সত্যি খুব আনন্দের। অনুভূতিটা বলে বোঝানো যাবে না।
শেষের দিকে এসে একটি কথাই বলার থাকে। এই সময়টায় এসে আসলে লাইফের ক্রাইসিস/ স্ট্রাগল যাই বলি না কেন এই জিনিসটার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। সব দিক থেকে প্রেশার এসে যেন জীবনটাকে এখানেই ধরাশায়ী করে দিতে চাইছে। তাই জীবনের গতিপথ, মিশন, ভিশন সব কিছুকেই যেন ঢেলে সাজাতে হচ্ছে। সংগত কারণেই ব্লগে আর আগের মত আসা হয় না। মনের খোঁড়াকটাকে আপাতত মিথ্যে সান্ত্বনায় ভুলিয়ে রেখেছি। জানি আমি নিশ্চিতভাবেই এই বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আবার মূল ট্র্যাকে ফিরে আসব। সেদিন নিশ্চই কোন পিছুটান থাকবে না।
.....সকলের নিকট দোয়াপ্রার্থী