ইউরোপীয় ইউনিয়ন গতবছর অবৈধদের ফেরাতে চাপ দিয়ে বাংলাদেশের সাথে 'এসওপি' চুক্তি করে।
নতুন নিয়মে অবৈধদের ধরে নিদ্রিষ্ট স্থানে রাখা হয়। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে, যাতে আশ্রয়প্রার্থীরা আইনজীবী বা কারো সহযোগীতা নিতে না পারে। আলাদা উড়োজাহাজে করে সরাসরি ফ্লাইটে দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ফ্লাইটে থাকে ডাক্তার, দোভাষী এবং পুলিশ। উড্ডয়নের আগে বাংলাদেশ সরকারকে ইউরোপীয় দেশ জানিয়ে রাখে। ঢাকা বিমানবন্দরে অবৈধদের নামিয়ে একই ফ্লাইটে কয়েকঘন্টার মধ্যে ইউরোপীয় কতৃপক্ষ ফিরে আসে। বহিষ্কার হওয়া ব্যক্তি লোকলজ্জায় বিষয়টি দেশে গিয়ে বলেনা, প্রবাসীরাও ঘটনাটি জানতে পারেননা।
অবৈধ হয়ে পড়া ৯৩ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশের 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর' চুক্তির ফলে এটি সম্ভব হচ্ছে।
আগের নিয়মে ইউরোপে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখান হলে অথবা অপরাধের সাথে যুক্ত থাকলে ব্যক্তিটিকে পুলিশ দূতাবাসে নিয়ে যেতো। এম্বেসী ট্রাভেল পাস বা বাংলাদেশি হিসাবে স্বীকৃতি দিলে ইউরোপ থেকে বহিষ্কার করা সম্ভব ছিল।
বর্তমানে ইউরোপে অবৈধ থেকে বৈধ হবার পথটি অনেক কঠিন।
অবৈধভাবে ইউরোপ এসে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা যাদের রয়েছে অথবা এসে থেকে যাবার চিন্তা যাদের তারা ভালভাবে জেনে-বুঝে আসা উচিত। দালালের মিষ্টি কথায় প্রলুব্ধ হবেননা।
(প্রতিকি ছবি)