ফ্রি বায়ো-ফিঙ্গারঃ এখন ২০(বিশ) টাকায়ঃ চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে প্রতিটি সিম রেজিঃ করতে সাধারন লোকের ২০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে।সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ঘোষনা করেছেন রেজিঃ করতে কোন দোকানদার টাকা চাইলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে অবহিত করলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আর টাকা গ্রহন করা হবে দন্ডনীয় অপরাধ।
খুবই সুন্দর কথা বলেছেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়। এখন টাকা ছাড়া রেজিঃ হয় না।ওরা সগৌরবে অপরাধ করছে।গ্রাহক অসহায়।প্রশাসন নিব্রিকার।এহেন অবস্থায় বিড়ালের গলায় ঘন্টি বাধবে কে???
লোক মুখে শুনে বিশ্বাস হয়নি বলে সশরীরে বুধবার রাত ৯.০০ মিঃ থেকে রাত ১১.০০ মিঃ পর্যন্ত দোকানে দোকানে যা দেখলাম সংক্ষেপে তার বিবরন তুলে ধরার কিঞ্চিত চেষ্ঠা করছিঃ কারন আমার নিজেরও রেজিঃ করা বাকীছিল।তাই কৌতুহলে ঘুরতে লাগলাম আর দেখতে লাগলাম সচিত্র বাস্তবতা। বাস্তবতা এমন এক অভিজ্ঞতা প্রয়োগকারী তা অনুমেয়।আচ্ছা দেখা যাক বায়ো-ফিঙ্গারের বাস্তবতা।শুরু হল অভিযান সরজমিনের অবস্থান ফকিরাপুল ,খিলগাঁও,গোড়ান সব দোকানেই প্রতি সিমে ২০ টাকা নগদ দিলে বায়ো-ফিঙ্গার গ্রহন করে নতুবা ১০০ গজ দুরে থাকার কমান্ড করে। রেলগেইটের ঢালুতে আমান উল্লাহ সুপার মার্কেটের সংগ্লন্ন ফলের দোকানের সামনে দেখি জনাকীর্ন অবস্থা।জানার আগ্রহ জাগল কেন এত লোকের ভীর।কাছে গিয়ে বুঝলাম রেজিঃপ্রক্রিয়া করনের কাজ চলছে।
রেজিষ্টারকে জিজ্ঞেস করলাম কি কি সিম রেজিঃ করছেন?প্রথমেই উত্তর দিল ২০ টাকা দিলে সব সিমই রেজিঃ করা যাবে।জবাবে বললাম, আমার তো ফরম পুরন করা আছে।জবাবে রেজিষ্টার বল্লেন পুরন হোক আর না হোক প্রতি সিমের বীপরীতে রেজিঃ করতে ব্যয় হয় মাত্র ২০টাকা। কিছু কম নেয়া যায় না,কিছু কমের কথা বলার পরই রেজিঃ তেরে গেল এবং দাম্ভিকতার সাথে বল্লেন এটা মাছের বাজার নয় মোবাইলের দোকান। ফ্রি রেজিঃ এর কথা বলতে না বলতেই লোকট বল্ল ক্ষমতা থাকলে কিছু করে দেখান। জবাবে বল্লাম অপেক্ষা করুন।
সরকার তথা মাননীয় মন্ত্রী তারানা হালিমকে বলব খবর নিয়ে দেখুন সত্য বলছি না মিথ্যা বলছি।আর ঔদ্ধতপূর্ন আচরনের জন্য শাস্তি দাবী করছি।অনৈতিক কাজের দন্ড কামনা করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৩:২৪