গণতন্ত্রের সঙ্গা অনুযায়ী মানুষের কিছু অধিকার আছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক। একটা গণতান্ত্রিক দেশে এ অধিকার সবার জন্য সমান। এর কোনএকটি ক্ষুন্ন হলে তাকে গণতন্ত্র বলা চলে না। সে দিকথেকে বিচার করলেও কি আমরা ডেমোক্রেসিক হতে পারি? না তাও সম্ভব না। আমাদের দেশে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে মানুষের মৌলিক চাহিদাই পূরণ হয়না। জীবন ব্যবস্থার মানোন্নয়ন হলেও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমি শংকিত। মনে হলেই থরকম্প শুরু হয়ে যায় বুকের ভেতর। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক- কেঊ বাদ পড়েনি গুম হত্যা সহ নারকীয় তান্ডবলীলার হাত থেকে। ঘর থেকে বের হলে কে জীবন নিয়ে ফিরবে আর কে ফিরবেনা সে বলা অসম্ভব এমনকি কুসম্ভব! কোন অশরীরী শক্তি বা রূপকথার কোন দস্যু যে করছে তাও না। করছে আমাদের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু অমানুষ। এদের মানুষ বললে মানবজাতিকে গলা টিপে হত্যা করা হবে। এদের জন্ম হয় সভ্যতার আতুরঘরে আর আচরণ করে অসভ্য কালসাপের মত। সংস্কৃতিক ভাষায় এদের বলা যায় পাপিষ্ট আর অর্থনৈতিকভাবে বলা যায় ক্ষতিকারক…এবং গণতন্ত্রের আলোকে বলব-গণতন্ত্রের হত্যাকারী। এরা একটা মানুষের সাথে হত্যা করে পুরো জাতিকে, হত্যা করে আশা ভরশা আর তিলতিল করে গড়ে তোলা স্বপ্নকে।
“আমি সেইদিন হব শান্ত, যবে উৎপীড়িতের ক্রোন্দনরোল আকাশে বাতাশে ধ্বনিবেনা…”- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমি একটা শান্তনার বাণি দিতে চাই-হে কবি আগামী কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত আপনাকে অশান্ত থাকতেই হবে। অত্যাচারীর খড়গ এখন রণভূমিতো দূরের কথা ফুটপাতেও শোনা যায়।
অত্যাচার,অত্যাচারী আর অত্যাচারিত-তিনটে কাছাকাছি শব্দের রয়েছে ভিন্ন অর্থ। একটা ঘটলে বাকি দুটিও বর্তমান থাকে।এখনো গনতন্ত্র রক্ষার নামে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয় সাধারন মানুষদের।আজো কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ীরা ধর্ম রক্ষার নামে চালায় তান্ডব।আজ অত্যাচার চলছে হাজারো অসহায় মানুষের উপর। অত্যাচার চলছে পুরো জাতির উপর। অত্যাচারিত হচ্ছে পুরো গণতন্ত্র।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৯