পূর্বপুরুষের জমিয়ে রাখা অত্যাধিক সম্পদ কি যন্ত্রণা সৃষ্টি করে তা সম্পর্কিত ভুক্তভোগীরাই ভালো জানেন!একমাত্র কারণ হলো সেগুলো যখন জমানো হয় তখন পাশাপাশি অনেক অভুক্ত অসহায় মানুষ ও এতিম মানবেতর জীবন যাপন করতো এবং এখনো অনেক আছেন। আব্রাহাম লিংকনকে অনেক গালি দিই এজন্য যে, সে জনগনের ভোটের অধিকার নেওয়ার মূলমন্ত্রকে যথেষ্ট পুক্তভাবে শিখিয়ে গেছেন। কিন্তু সে মানুষ কিভাবে মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা পাবে সে বিষয়ে কোন মন্ত্র তার ফর্মুলাতে ইনজেক্ট করেনননি! যে কারনে তৃতীয় বিশ্ব বা অসহায় বিশ্ব আজ রক্তাক্ত! মানুষের অসহায়ত্ব ও এতিম শিশু অভুক্ত অসুস্থ থাকছে তোমারই কারণে। কারণ তাঁরা তোমার গনতন্ত্রের এ ফর্মুলাকে মহা গ্রন্থের বাণীর মতো আজ মানছে। স্বার্থপর ও সমুন্নত বিশ্বের মালিকরাও আজ তৃতীয় বিশ্ব সহ স্বল্প উন্নত দেশকে তোমার এ মন্ত্র মেনে চলতে বাধ্য করছে। না মানলে তারা লক্ষ কোটি অসহায় নিরঅপরাধ মানুষের উপর রক্ত ঝরানোর হিংস্র অস্ত্রের আঘাত হানে! তারা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে কোটি কোটি মানুষ কে। তারা একবারও ভাবে না এ দেশ সমুহ তাদের মতো উন্নত নয়। এখানে মানুষের মৌলিক চাহিদার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু ভোটাধিকার সকলেরই সমান। সম্পদ আহরণ ও যথেচ্ছ ব্যয়ের স্বাধীনতা বিদ্যমান থাকায় এক পক্ষ সম্পদের পাহাড় ও অপব্যবহারের সাগরে ভাসে পাশাপাশি বেশিরভাগ ভোটের মালিক মানবেতর জীবন যাপন করছে। অথচ ভোটাধিকার সকলেরই সমান! সম্পদ সকলের সমান কখনো হবে না তা হওয়ার নয়! কিন্তু কাউকে অভুক্ষ অসুস্থ ফেলে রাখার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে? তুমি এতো হিংস্র ফর্মুলা কি দিয়েছিলে? যেখানে অভুক্ত অসুস্থ হয়ে মানুষ পড়ে থাকলেও তার পার্শ্ববর্তী সক্ষম মানুষের আইনগত ও গনতান্ত্রিক দায় নেই। অথচ ধর্ম ও তাঁর মহাগ্রন্থ এ পরিস্থিতিতে এবাদত কবুল না হওয়ার কথা বলেছে! সেজন্য আমি এ বিশ্বে ধর্মের এ মূলমন্ত্রকেই মানি। এহেন রক্ত ক্ষরন ও নীরব যন্ত্রণার তোমার এ গনতন্ত্রকে কখনো নয়! তোমার এ গনতন্ত্র আজ আমাদের জন্য অভিশাপ বয়ে আনছে এবং ভাই ভাইয়ের রক্ত ঝরিয়ে চলছে! ঘৃণা করি তোমাকে এবং গনতান্ত্রিক ফর্মুলাকে যা তৃতীয় বিশ্বের জন্য হিংস্র হিসেবে কাজ করছে !
দয়াপূর্বক!