এ পৃথিবীর বিত্তবানদের দের উচিত হলো মি. বিল্ গেইটস এর মনকে গবেষণা করা। তিনি এ পর্যায়েও বার্গার কিনতে কিউতে দাঁড়ান! তাঁর মানবিক কাজ তো অবর্ণনীয়! আপনি ধর্মীয় গোডামীর মধ্যে থেকে সারাদিন ঝিকির করলেও শান্তি সুখের দেখা মিলবে না যদি নিঃস্বার্থ মানবিক কাজের দিকে নীজেকে নিবিষ্ট না করেন। কোন মনিষী বা ভালো মানুষ কখনো বিলাস বহুল জীবন যাপনের দিকে ধাবিত হতে পারে না। আজ আপনি মুসলিম বিশ্বের কর্ণধারদের দেখেন তাঁরা কি রকম জীবন যাপন করছেন? ধর্ম কি বলেছে আর তাঁরা কি করছেন? সে জন্যই শান্তির দেখা তাঁরা পাইনি এভাবে চললে পাবেও না। দুনিয়াতে যাঁরা অসহায় হয়ে কষ্টে যন্ত্রণায় জীবন যাপন করে বা যুদ্ধের অসহায়রা, যুদ্ধে নিরহ মৃত্যু বরনকারীগন তাঁদের পুরস্কার অবধারিতভাবে পাবেন। আমরা বেশী নিয়মকানুন নিয়ে ব্যাস্ত। নিয়ত নিয়ে ব্যাস্ত নই। অন্য তাবলিগ আমরা করি কিন্তু মানবিক তাবলিগ আমরা করি না।পরিণতি কি তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। নীজেরা নীজেরা রক্তাক্ত হচ্ছেন। এগুলো মহান আল্লাহ করান।আসল নিয়ে না দৌডে নকল নিয়ে দৌডালে তাই হবে।এটা প্রকৃতির বেসিক ফর্মূলা।আর যাঁদের শয়তানি ভূমিকার কারনে এ যুদ্ধ তাদের শাস্তিও অবধারিত! নিরপরাধী বা অসহায়কে হত্যার মধ্য দিয়ে আপনার সাময়িক বিজয় হতে পারে তা হলো ক্ষনস্থায়ী! এবং এর জন্য চরম শাস্তি আপনার জন্য অপেক্ষমাণ! মনে রাখবেন অসহায়দের মহান আল্লাহ তাঁর মহা আনন্দের জায়গাতেই রাখবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই। এটা এ প্রকৃতির আইন। নিরপরাধী হত্যা কখনো শান্তি বয়ে আনতে পারে না। তা যদি একজনও হয়। আমার গবেষণায় প্রকৃতির যোগসূত্রে আমি তাইই ধরতে পারি। হুজুরদের বয়ানেও তা শুনেছি ইসলাম নাকি তাই বলেছে। আমার গবেষণায়ও আমি তা স্পষ্টভাবে ধরতে পেরেছি এবং দারুণ অনুভব করছি । প্রকৃতির সাথে কথা বলতে যে সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তাঁর নিকট এ বিষয় বিজ্ঞানের সূত্রের মত প্রমাণিত! আমার কাছে এখন মনে হয় সেই বেশি ভাগ্যবান যে বিনা বিচারে অন্যের দ্বারা হত্যা হয়েছে। আমরা সক্ষমরা সুবিচার করছি না বলে অসহায় এতিম শিশুদের আজ এ অবস্থা বা অন্যান্য অসহায়কে অসহায়ত্ব ভোগ করে জীবন যাপন বা মৃত্যুবরন করতে হয়। আমরা চরম বোকা বলেই তাঁদের আজ এ অবস্থা বুদ্ধিমান হলে তাঁদের খুঁজে খুঁজে বেড়াতাম। দিনের কিছু সময় তাঁদের খুঁজতাম! সত্য মনিষী বা ভালো মানুষেরা তাই করেছেন। ধর্মও তাই করতে বলেছে। অসহায় সামনে রেখে আপনি যদি সম্পদ জমান তাহলে আর আপনার ধর্ম থাকে না। সারাদিন কাঁদলেও না। মহান তিনি সবই বুঝেন আপনি কোন্ অভিনয় করছেন! সুতরাং বোকামি ছাড়েন অসহায়কে ইয়েস বলুন। তাহলেই দেখবেন শান্তির সাগরে ভেসে যাবেন এ জীবনে যেমন সে জীবনেও যেহেতু সেখানে পুরস্কার আছে তা হবে অসাধারণ! আবারও বলছি আপনি নীজেও তা এ দুনিয়া থেকে আঁচ করতে পারবেন। কারন হলো প্রকৃতি কথা বলে একমাত্র তাঁর সাথে যে নিয়ত পরিস্কার করে নিঃস্বার্থ মানবতায় নীজেকে নিবিষ্ট করেন।
বিশেষ করে বিশ্ব নেতাদের জন্য এ শিক্ষা এ থীম তাঁর দেশের জনগণের মধ্যে ছড়ানো উচিত। মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া উচিত। তবে অবশ্যই আগে নীজেকে দিয়ে শুরু করা উচিত। যা অতীব জরুরী। শন্তি কখনো অস্ত্রে হতে পারে না শান্তি মহা শান্তি হলো মানবতায়!
দয়াপূর্বক!
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩