প্রকৃতির ক্রিয়াকান্ড মহাবিস্ময়ের! মহা আশ্চর্যের! মানুষের কার্যকলাপও এ প্রকৃতির কর্মকান্ডের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত বলে আমি মনেকরি। এ প্রকৃতি আমাদের সাথে সুমধুর আচরণও করে আবার বিক্ষুদ্ধ আচরণও করে। কিন্তু কেন? ধর্মের মুলমন্ত্র, মানবতা, মানুষের আচরণ এবং প্রকৃতির আচরণে বৈজ্ঞানিক ফর্মূলার মত এক চিরস্থায়ী যোগসূত্র বিদ্যমান বলে বুঝা যায়। আজ আপনাকে চিন্তা করতে হবে যাঁরা মানুষকে ধর্ম শিক্ষা দেয় এবং মানুষকে শুদ্ধতার মধ্যে চলতে বলে তাঁদের মধ্যে কেন বিবেদ হচ্ছে এবং তাঁরাও কেন অশান্তিতে থাকছে? কারনটা কি? আমি আমার সূক্ষ্ম গবেষণায় যা ধরতে পেরেছি তা হল, মানবতাকে অবজ্ঞা করে মানুষ আজ লোভের দিকেই বেশী ধাবিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যা একমাত্র মূল কারণ। এ লোভ যখন মানবতাকে পদদলিত করে নীজেদের অজান্তেই হিংস্রতায় রুপ নেয়,তখনই নিয়ন্ত্রনকারী এ প্রকৃতি দিয়ে তাঁর বিচার শুরু করে বলে মনেকরি। এ বিচার হল নীজেদের মধ্যে কলহ, মারামারি,খুন রাহাজানি, দূর্ঘটনা,অসুস্থতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি করা ইত্যাদি। অর্থাৎ অশান্তি সৃষ্টি করা। ভাবতে হবে যাঁরা আজ আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয় তাঁরা কতটুকু নির্লোভ মানবিক আচরণ করছে? আমার পর্যবেক্ষণ ও গবেষণায় যা বুঝেছি প্রায় সকলের মধ্যেই মানবিক ক্রিয়াকর্ম আজ অনুপস্থিত বললেই চলে। বাস্তবে তাঁরা মানবিকতাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করে অন্য এক লোভকাতুরে জৌলুশে দিনাতিপাত করছে। ঊনারাও ওনাদের অবস্থানে থেকে কিছু নিয়ম পরিপালনের কথা সর্বক্ষণ বললেও তাঁদেরও আজ টার্গেট থাকে সম্পত্তি ও ক্ষমতা অর্জনের স্বরুপে। মানুষের জন্য মংগলকর কর্মকাণ্ড করেন না বললেই চলে শুধু অন্যকে করার কথায় বলে বেড়ান। আর পাশাপাশি বৃহৎ জনগোষ্ঠীও তাঁদের মতই মনোভাব নিয়ে চলছে অর্থাৎ বেশভূষায় ভাল মানুষ আর কর্মকাণ্ডে মানবতাকে পদদলিত করে সম্পদ আহরণ ও ক্ষমতা অর্জনের দিকেই মনেপ্রাণে ধাবিত। নীজেদের বানানো এ হিংস্র থিয়োরির কারণেই মূলতঃ সব রকমের অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
ঘরে কলহ, পথে কলহ, শরীরের ভিতর কলহ, দূর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগময় পরিস্থিতি ইত্যাদি অর্থাৎ সকল অশান্তি সৃষ্টির মূল কারন হলো আমাদেরই কারনে প্রানের কষ্ট যন্ত্রণা সমাজে এভাবে প্রবাহমান থাকা। আমরা প্রানীর তথা মানুষের দুঃখ কষ্টের সাথে অবিচার করছি বলেই মহা নিয়ন্ত্রকও প্রকৃতির বিভিন্ন আচরণের মাধ্যমে আমাদেরকেও চরম অশান্ত রাখে।
গবেষণা করতে হবে, আপনার আশেপাশের অশান্ত পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হয়? আমি দৃঢতার সহিত বিশ্বাস করি, অন্যের কষ্ট যন্ত্রণায় আপনি আপনার সামর্থ্য নিয়ে নিঃস্বার্থ হাজির থাকলেই নিয়ন্ত্রকও আপনার সবকিছুকে আপনার অনুকূলে রাখতে আপনার পাশে থাকেন। আপনার আমার যত কষ্ট দুর্যোগ দূর্ভোগ সৃষ্টি হয় তার মূল কারণ হলো, মানব কূল ও প্রাণীর প্রতি আমাদের বিবেকের হিংস্র অবিচার সর্বক্ষণ করছি বলেই । যা পরিবর্তনের কোন লক্ষন নেই আমরা করেই চলছি। আর মূলত এ কারণে আমদেরকে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন রকম যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আপনার আমার পাশে বিনাদোষের কষ্টকর রুহ যন্ত্রণা যত থাকবে নিয়ন্ত্রকও সক্ষম জনগোষ্ঠীর উপর তত অশান্তি দিবেন! এটা হল স্রষ্টার বিচারের এক যোগসূত্র! যে খেতে পারছে না তাকে উপোস রাখবো যে চিকিৎসা নিতে পারছে না সে রোগ যন্ত্রনাতেই থাকবে তা কোন্ বিচার? মহান আপনার বিবেকেরই বিচার করেন। প্রাণীর রুহ আর প্রকৃতির রুহ ঘনিষ্ঠজন। একজনের যন্ত্রণা আর একজন কোনমতেই সহ্য করতে পারে না তাই সে বিক্ষুব্ধ হয়। মনে করতে হবে আপনার আমার অান্তঃ কলহও প্রকৃতির সৃষ্ট। শান্তি আর অশান্তি নির্ভর করছে আপনি কতটুকু নির্লোভ মানবিক আচরণ করছেন তার উপর। মানবতের কষ্ট দেখেও আপনি আপনার সম্পদ জমিয়ে রাখবেন এমনকি শ্রমও ব্যয় করবেন না তার জন্য আপনাকে অশান্তি অবধারিতভাবেই ভোগ করতে হবে। মানুষের কষ্ট যন্ত্রণাকে অবজ্ঞা করে শুধুমাত্র ধর্মীয় কিছু রীতি নীতি পরিপালন করে শান্তি সুখে থাকা যায় বলে আমি মনেকরি না। তাহলে দারুণভাবে পরিপালনকারীদের মধ্যেও এত অশান্তি হয় কেন?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭