খুলনার শিশু ইমন ঘর ছেড়েছে দুই মাস। কারন সে যা বলল, মা বাবা নাকি খুব মারধর করে। মা বাবা থাকা এ রকম অভাবী পরিবারের কিছু শিশুর সাথে সাক্ষাৎ মিলে যারা মারধরের কথা বলে। আবার কোন কোন শিশু মা বাবা কে দৈনন্দিন ভিত্তিতে টাকা আয় করে না দিলে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং মারধর করার কথাও বলে। সন্ধ্যার সময় সে বলছিল দুপুরে কিছু না খাওয়াতে তার নাকি খুব ক্ষুধা লেগেছে। পথের এ সকল শিশুদের সমস্যার কি কোন সমাধান নেই?
অন্য ছবিতে মা তার দু শিশুকে নিয়ে পথে বসে আছে। গত একমাস ধরে পথেই থাকছে ঘর ভাড়া দিতে না পারায় বাড়ি ওয়ালা বের করে দিয়েছে। দিনমজুর জামাই অসুস্থ কাজ করতে পারেনি আর তিনি নীজেও ছোট বেবীর কারনে কাজ করতে পারে না। তিন বাচ্চার দুই বাচ্চা ভাংগারী কুড়িয়ে যা পায় তা দিয়ে কিছু খায়। আর পথেই দিনরাত কাটছে। ছেলেদের বাবা কাজ করতে এখন নাকি নরসিংদীতে কিন্তু গত সাতদিন ধরে কোন খবর নেই? পথের এ চিত্রে এবং এরকম আলাপে ভীষন কষ্ট পাই। কিছুই করতে পারি না যৎ সামান্য কিছু দিয়ে বা কিছু খাওয়ায়ে বা গল্পশুনে মাথা নুইয়ে চলে আসি। পরে সুযোগ পেলে প্রতিদিনের মত আপনাদের জন্য চিত্র প্রদর্শন ও বিজ্ঞাপন আকারে কিছু লিখি। উদ্দেশ্য একটায় যদি কোন সামর্থ্যবান ব্যাক্তির যদি মন বিগলিত হয়? যদি সরকারের নজরে এ সকল মানবেতর বিষয়াবলী গুরুত্ব সহকারে ধরাপড়ে? আমি এটাকে আমার ভাষায় মানবিক তবলীগ বলি। আসুন আমরা সকলে অসহায় শিশু ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়। নীজের খরচের কৃচ্ছতা সাধন করে অসহায় অভূক্ত শিশুকে খেতে দিই। যে যেখানে যে অবস্থানে থাকি না কেন অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হলেও আমারা সকলে সামাজের এ সকল করুন চিত্র তুলে ধরি। আমি মনেকরি আমরা প্রত্যেকেই করুন এ সকল মানবেতর বিষয়াবলী যদি বারবার তুলে ধরি তাহলে সরকার বাধ্য হবে তাদের জন্য কিছু করতে। ইহা ছাড়াও, সামর্থ্যবান ব্যাক্তিবর্গও এ সকল বিষয়ে এগিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি।
সাংবাদিক ভাইয়েরা দেশের অনেক কিছু নিয়ে মাথা ঘামিয়ে পত্র পত্রিকা ও মিড়িয়াতে অনেক লিখেন ও তুলে ধরেন। কিন্তু পথে ঘাটে চলতে ফিরতে এ সকল হৃদয় বিধারক মানবেতর ইস্যুগুলোকে সে রকম তুলে ধরতে দেখি না। দুঃখজনক! কষ্ট লাগে তাই দেখায় আর লিখি।
দয়াপূর্বক!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪