কবিতার গুষ্টি-জ্ঞাতি......
সাহিত্য তো বেশ ভালো বোঝ তুমি, দেবলীনা !
বলতো, আমার কবিতাগুলো কবিতা হয় কিনা !
গুচ্ছের অনর্থক শব্দের টেরি কেটে কেটে
পাঁচ মিনিটেই নেমে যায় কবিতা ।
ঠনঠন শব্দের জট , খটোমটো গা -গতর
তালগোল পাঁকানো, এবড়ো থেবড়ো এক একটা শরীর কবিতার,
পথে নামে । রেললাইনের মতো শুধু সোজা চলে
মেলেনা অর্থ কখনও কোনও কালে ।
এই ধরো, দু’পাঁচ মিনিটেই নামিয়ে দেই কবিতা -
তন্দুর থেকে নেমে যায় গরম গরম, আহা !
মধুখেকো মাছিও জুটে যায় কিছু, কচুরীপানার মতো
থাকে ঘিরে । বলে , লিখেছেন খাসা ; অতি সুন্দর !
কি করে লেখেন এসব, কী মন্তর ?
যতো রাজ্যের এই স্তুতি, আমার কবিতার খামার -খেতি
বুনো হাতির মতো দু’পায়ে করে তছনছ , করে বিরান ।
এরপরে আর নতুন চাষাবাদ হয়না
এ ফসলেই যদি যায় চলে ,
খামোকা সরস্বতীর পায়ে মাথা ঠেলে
কাজ কি !
আমি তো হয়ে গেছি তকমা আঁটা বিশাল কবি
সন্তুষ্টি ঘিরে থাকে চারিধার, বুক টান টান ।
সকাল বিকেল আনি টেনে কবিতার গুষ্টি জ্ঞাতি ,
শুধু হাতি মনের আকাশে উড়ে যায়
মধুখেকো মাছি বেলা অবেলায় ।
সাহিত্য তো বেশ ভালো বোঝ তুমি, দেবলীনা !
এই যে কবিতার সঘন প্রসব বেদনা,
বলো ; ক্লান্ত করে কি না !
জাহিদ অনিক এর পোস্ট - “ অ-কবিতাঃ ঠিক যে কারণে আমার কোন কবিতার বই এই মেলায় নেই ” এর সম্পুরক হিসেবে কবিতাটি জাহিদ অনিককেই উৎসর্গিত ।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬