"বাইম মাছ" জিনিস টা দেখতে লম্বাটে,মাথা আর লেজের দিকটা চোখা, ছোট ছোট আইশ,পিঠে আর পেটে র লাইন জুড়ে কাটা।তবে এর বিশেষত্ব হলো পিছলা।সহজে ধরা যায় না। ছাই হলে চেস্টা করা যায় ।এই বৈশিষ্ট আরও একটা মাছের আছে, তবে দেখতে একটু ভিন্ন,সেইটা হইলো "গুতুম মাছ"।সে আবার বিখ্যাত আরেক কারনে, সে থাকে পেক কাডার মধ্যে লুকায়ে।কিছু মানুষের মাঝে ও এই বৈশিষ্ট দেখা যায় চরম ভাবে।মাঝে মাঝে ই ভাবি গন হারে এই বৈশিষ্ট আসে কি করে।তারা যদি একই পরিবারের সদস্য হইতো, বা কাছা কাছি বন্ধু হইতো তাবু প্রভাবিত হাবার সম্ভবনা থাকে। কিন্তূ তার কিছু ই না। মাথা যায় ঘুরায়ে।
অনেক খুজে যেই মিল পাওয়া যায়, তা হলো আদর্শের মিল। তারা একই নাপিতের কাছে মাথা কামায়।হম তারা সব একই নেতার আদর্শে বিশ্বাসী, আর টা হলো জামাতে ইসলামী।আমার অবজার্বেশনে সবচেয়ে সুবিধাবাদী আর পিছলা দল।তাদের আমি কখনও ধর্মীয় দল মনে করি নাই, এখন ও করি না।তাই ঐ বিষয় টা নিয়ে আলো চনা না কইরা শুধুই রাজনৈতিক ধারা দেখলে যা বুঝি তাই দেখি...
সেই শুরু থেকে, তারা ভাবছিল পাকিগো লগে হাভাতে বাঙালী পারবো না কোন দিন ই, তাই তারা পাকি গো সমর্থন ই শুধু করে নাই, তাগোর লগে দল বাইণ্ধা যুদ্ধ করছে বাঙালির বিরুদ্ধে,নিজের ভাই এর গলা কাটছে, বোনের ইজ্জত নিছে,শুধু এই আশায়,যে পাকিরা জিতব আর তারা ক্ষমতার ভাগ পাইবো।কোন নৈতিকতা , বা ধর্মবোধ কাজ করে নাই টাদের মাঝে।
টাদের উর্দি প্রীতি উপভোগ করার মতো।জামাতের ইতিহাস লিখলে হয়তো তার টাইটেল দিতে হবে" উর্দির ছায়া তলে জমায়েত"।কারন প্রতিবার ই এই জলপাই রং তাদের যে নিশ্চয়তা দিতে পারে আর কেউ পারে নাই। ৭১ এ তারা রাজাকারী করে জায়গা নিতে চাইছে, এখন তারা কি করছে? কোন কিছুই শুধু শুধু মানুষ পায় না। এর জন্য কিছু দিতে হয়।এখন যেসব লোক সেনা বাহিনীর পা চাটতেছে তারা ই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে, এটা স্পস্ট। জামাত ও আছে সেই অবস্থানে। অনেক দূর্ণিতিবাজ ধরা পরছে অথচ বি ডি ফুডের মালিকের কিছু হয় না,শিবিরের পোলাপানের কিছু হয় না, সচিবালয়, পুলিশবিভাগ,প্রশাসনে এতো গুলো শিবির নিয়োগ হলো তাদের হোতাদের কিছু হয় না,কিছু হয় না বিশ্ববিদ্যালয়ে খুনীদের গডফাদারদের, যারা সমাবেশে দাড়িয়ে তার সাপোর্ট করে।কিছু হয় না বংলা ভাইয়ের জনকদের।যে মামলায় অন্য লোকের জেল হয় সেই একই মামলায় নিজামীর কিছু হয়। দেশ দ্রোহী মামলা হয় না এি দ্রোহীদের।
তারা এখন নিশ্চুপ, কোন মন্তব্য করবে না, কারন তারা এখন মগ্ন অন্য কাজে,আর তা হলো উর্দির উপর হাত বুলানো।তার পিছলাবে ই। তবে এবার তারা কিছুটা সাবধানী,
জনসম্মুখে কিছু বলছে না, কারন তারা ঠিক নিশ্চিত না জংন কিভাবে নিবে। তারা জানে বাঙালী সবাই রাজনীতিবিদনা,কিছু শুধু ই বাঙালী।আর জলপাই রং মানে শুধু রং না, এর সাথে জড়িয়ে আছে রক্ত। রক্তের লাল রং না ছুয়ে কোন জলপাই রং শুদ্ধ হয়নি, হতে পারে নি।আর কোন জলপাই রংই টিকে থাকে নি সেই রক্ত স্রোতে।এবার বাঙালী জাগলে গোড়া থেকে শুরু করবে সেই ভয় তো আছে ই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০০৭ সকাল ১০:৪২