মাহবুব মোর্শেদ আজকে আমাকে নিয়ে একটি গল্প লিখেছেন। তার গল্পটা আমার পছন্দ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগে ঘটা একটা সত্য ঘটনার কথা বলি।
গত পরশু সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই আমাকে ফোন করলেন এক সুহৃদ। হাতেগোনা কয়েকজনের মধ্যে তিনি একজন, যিনি মোটামুটি অবগত ছিলেন আমি অপরবাস্তব-৩ সম্পাদনা করেছি। ফোন ধরতেই তিনি বললেন, "তুমি শেষমেশ আমাকে বোকা বানালে?" শুনে আমি অবাক। কী এমন ঘটল আবার! আমি বললাম, হঠাৎ এই কথা? সুহৃদ বললেন, অপরবাস্তব তুমি সম্পাদনা করো নাই। এটা করেছে তো আরেকজন, যার লোকালটক নিক ব্যান হয়েছিল। সে এখন (....) নিকে ব্লগায়, চিটাগাং কি কুমিল্লার ছেলে। কোন্ একটা পত্রিকার সাংবাদিক।
সুহৃদ যে নিকের কথা বলল, আমি ওই নিকটাকে প্রায়ই সামহোয়্যারে দেখি। কিন্তু ব্লগে কখনো তেমন করে কথাবার্তা হয়নি। তিনি ফেসবুকের কিছু কথোপকথনের টেক্সট আমার মেইলে ফরোয়ার্ড করলেন। তাতে অবাক হয়ে দেখলাম, "সম্পাদক" দাবি করে অপরবাস্তব বিষয়ে যিনি কথা বলছেন, ফেসবুক-সামহোয়্যারেও একই নিক তার, কিন্তু ওই লোক আমি নই। এটা দেখে আমার বেশ মন খারাপ হল। আমি চাইলে নিক ও মেইলের কথোপকথনগুলো প্রকাশ করতে পারি। কিন্তু অন্য দিক থেকে আমার মনে হল, অপরবাস্তব যেহেতু ব্লগারদের বই। প্রতিটি ব্লগারেরই এই বইয়ের ওপর অধিকার আছে। এবং ব্লগারমাত্রই নিজেকে অপরবাস্তবের সম্পাদক বা অপরবাস্তবের লোক দাবি করতেই পারেন। এই যুক্তিটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হল এবং আমার মনটা ভালো হয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৯