(এ সংক্রান্ত মন্তব্য বা নিউজ লিংক আশা করছি)
যদি প্রশ্ন করা হয়, পার্বত্যাঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করলে কি কি ঘটতে পারে?
তাহলে নিশ্চিৎ ভাবেই বলা যায়, পার্বত্যাঞ্চলের একছত্র গডফাদার সন্তু লারমা এবং তার তলপিবাহকেরা ( পাহাড়ি এবং বাঙ্গালী) এক বাক্যে চিৎকার করে বলতে থাকবে যে সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। যা ইতিপূর্বে অনেকবারই দেখাগেছে। সরকারের ২৯ জুলাই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া এবং তা বাস্তবায়নের সময়েই দেখা গেছে।
কিন্তু বাস্তবতা আসলে কি?
কয়েকটা উদাহরণ দিলে তা কিছুটা বুঝা যেতে পারে।
১। রাঙ্গামাটি জেলার কয়েকটি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহারের পর দুর্গম অঞ্চলের বাঙ্গালীরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না।
২। তারা দিনের বেলায় বাড়িতে থাকে আর রাতে ঘর-বাড়ি ফেলে চলে আসে নিরাপদ স্থানে।
৩। পাহাড় থেকে যারা গাছ-বাঁশ সংগ্রহ করে জীবীকা নির্বাহ করে তাদেরকে এখন চাঁদা দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ হারে।
৪। গত ২ সেপ্টেম্বর বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাই হাট এলাকা থেকে বাঘাইছড়ি সদরে ফেরার পথে উপজাতীয় অধ্যুশিত এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় মো. আব্দুল মোতালেব(৪০) । ৪দিন পর কাচালং নদী থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
৫। ২২ সেপ্টেম্বর লংগদু উপজেলার ভাসাইন্যা আদম ইউনিয়নের অধিবাসী মনোয়ারা বেগম বাড়ির পাশের পাহাড় থেকে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ছড়ার পাশে ক্ষত বিক্ষত এবং উলঙ্গ লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষ দর্শিদের মতে একাধিক ব্যাক্তি নির্মমভাবে ধর্ষণ করে মনোয়ারা বেগমকে হত্যা করার আলামত সুস্পষ্ট।
৬। ৩০ সেপ্টেম্বর বাঘাইছড়ি থেকে আসার পথে মো. সেলিম(২৫) এর সারা শরীরে ব্লেড দিয়ে পোচ দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে কয়েকজন উপজাতীয় সন্ত্রাসী। সে এখন বাঘাইছড়ি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।