আমাদের নেতাদের মতো দেশ প্রেমিক নেতা বিশ্বে বিরল। আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এই দেশটিকে যেভাবে ভালোবাসেন বিশ্বের আর কোথাও এমন ভালোবাসার নজির নেই।
গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী তার দেশে ফেরি দুর্ঘটনায় ১৮৭ জনের মৃত্যুর দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এ এক আহাম্মকি কারবার, নিমকহারামি কারবার। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের এমন বিপদের দিনে পদত্যাগ করে দেশটিকে আরো বিপদের দিকে ধাবিত করেছেন। যদি তিনি সত্যিই নিজের দেশকে ভালোবাসতেন তাহলে তিনি কখনোই দেশের এই বিপদের মুহুর্ত্বে এভাবে পালিয়ে যেতেন না। তিনি একবারো ভাবলেননা দেশের আকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা। এই দুর্যোগের মুহুর্ত্বে কে তাদের আশা দিবে, কে তাদের ভরসা দিবে, কে শোনাবে জাগরণের গান?
মাস দুই আগে একটি শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ ধসে ৫৪ জন মানুষ মারা যাওয়া পদত্যাগ করেন লাতভিয়ার প্রধানমন্ত্রী। উনি হলেন আরেক আহাম্মক। আরে মিয়া মাত্র ৫৪ জন মানুষ মারা যাওয়ায় পদত্যাগ করতে হয়! আমি তাজ্জব হয়ে গেলাম।
মাত্র ৫৪জন মারা যাওয়ায় যদি পদত্যাগ করতে হয় তাহলে আমাদের নেতাদের কতবার পদত্যাগ করা উচিত ছিল হিসাব করেনতো।
তার আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রীও পদত্যাগ করেন কারণ ভূমিকম্প ও সুনামিতে তার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় করা হয়েছিল। একটু সমালোচনা সওয়ার মানসিকতা নাই অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী সেজে বসেছেন, হু! অথচ আমাদের নেতারা হাজারো সমালোচনায় সমালোচিত হয়েও দিব্যি দেশের আসনে অধিষ্ট রয়েছেন।
ঐসব নেতাদের মাঝে দেশপ্রেম নাই অথচ দেখুন আমাদের দেশের নেতারা আমাদের দেশটিকে কত ভালোবাসে।
২০০৫ সালের যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী চিরযৌবনা, মিস গোলাপী, বেগম খালেদা জিয়া তখন আশুলিয়ায় স্পেকট্রাম ভবন ধসে ৮০ জন শ্রমিক মারা যায়। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশকে ভালোবাসেন বলেই দেশের ঐই বিপদের সময় দেশকে ছেড়ে পালিয়ে যাননি।
২০১২ সালে তাজরিন ফ্যাশনে আগুন লেগে মারা যায় ১১১জন শ্রমিক সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী বজ্রকন্ঠি শেখ হাসিনা পদত্যাগের কথা চিন্তাও করেননি।
২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত হয় ১১৩৫ জন শ্রমিক অথচ তখনও প্রধানমন্ত্রীর মগজেই আসেনি পদত্যাগের কথা। কারণ আমাদের নেতারা দেশকে ভালোবাসেন এবং দেশের এই দুর্যোগের মুহুর্ত্বে তারা কখনোই পালিয়ে যেতে পারেননা।
কবি হয়তো এজন্যই লিখেছিলেন, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি।