অভিযানের খবর পেয়ে সম্প্রতি অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখেই পালিয়ে যান ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ভুয়া চিকিৎসকরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন।
চিকিৎসা সেবার নামে বেহাল অবস্থা। অভিজাত হাসপাতালগুলো বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত। সরকারি হাসপাতালে বেহাল দশা। সাধারণ মানুষ জিম্মি। টাকা দিয়েও চিকিৎসা মেলে না। রাজধানী ঢাকাতেই হাসপাতালগুলোতে অভিযোগের পাহাড়। মাঝে মাঝে অভিযানও হয়। জরিমানা হয়।
বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা দেশের স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা কিছুতেই কাটছেই না। হাসপাতাল আছে, যন্ত্রপাতি ওষুধপথ্যের সরবরাহ যাচ্ছে নিয়মিত, আছে চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী; শুধু নেই কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা। রাজধানী থেকে শুরু করে নিভৃত পল্লী পর্যন্ত সর্বত্রই অভিন্ন অবস্থা। চিকিৎসকের বদলে নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়াদের দিয়ে রোগী দেখানো এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়া থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচার পর্যন্ত করা হচ্ছে হরহামেশাই। এতে মাঝে-মধ্যেই রোগীর পেটের ভিতর গজ-ব্যান্ডেজ, ছুরি-চাকু রেখে সেলাই করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। ওয়ার্ডবয়-আয়ার ‘ডাক্তার সাজা’র মধ্যেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা সীমাবদ্ধ থাকছে না, আছে বহিরাগত দালালদেরও অন্তহীন উৎপাত। দালালরা নানা কায়দা-কৌশলে অসহায় রোগীদের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ। এসব দেখভালের যেন কেউ নেই।
দুই.
চুয়াডাঙ্গার জেলার মোট ২০ জন নারী-পুরুষের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের চক্ষু শিবিরের অপারেশনে। তাদের মধ্যে ১৯ জনের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়েছে। এরা সবাই গরিব। তাই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতেও ভয় পাচ্ছেন। তারা বলছেন, তাদের প্রায় সবারই ‘দিন আনি দিন খাই’ অবস্থা। গ্রামে থাকেন; শহরে এলেও সেখানে চলাফেরায় অভ্যস্ত নন। ইম্প্যাক্ট হেল্থ সেন্টারের বিরুদ্ধে তারা লড়বেন কী করে? এমনকি স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ পর্যন্ত এসব ঘটনা জেনেও নীরব।
http://www.samakal.com/whole-country/article/18031808/চক্ষু-শিবিরে-গিয়ে-চোখ-হারালেন-২০-জন-
তিন.
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকাসহ সারা দেশে হাসপাতালগুলোর দুরবস্থার জন্য সরকারই দায়ী। এখনো পর্যন্ত হাসপাতালগুলো পরিচালনার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই।
ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-সেখানে হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গজিয়ে উঠছে। সনদ নেই, কিচ্ছু নেই। চিকিৎসক নেই, যন্ত্রপাতি নেই, ইমারজেন্সি নেই, ইসিজি মেশিন নেই, তারপরও সেগুলোকে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। এসব অনুমোদন কেন দেওয়া হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরও দায় এড়াতে পারে না। ’
চার.
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) বলেন, “ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে ”
“ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগণও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে। ”
পাঁচ.
ইসলাম সম্পর্কে আমরা ধারণা খুজি আইএস এর কর্মকান্ড থেকে আর ইয়া নবী সালামাআলাইকা শেষে হাতে গুজে দেয়া টাকা নেয়ার সময় এসবের কি দরকার ছিল বলা মৌলভীদের জীবন থেকে। অথচ ইসলামের মুল জায়গাটা অন্য কোথাও। কে খুজি?
যে যত বড় দায়িত্ববান তার জবাবদিহিতা তত বড়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২৬