somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

সাহিত্যে কর্ষিত উত্তরাধিকার :লন্ডন থেকে সিলেট অথবা সিলেট থেকে লন্ডন-২য় পর্ব

১১ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১ম পর্ব - Click This Link

সাহিত্য নিয়ে তাড়া হুড়ো আমার কখনও ই ছিল না। আমি সাহিত্যকে সময় দিতাম। সাহিত্য থেকে সময় নিতাম। মনে করতাম এবং আজও করি , সাহিত্য আমাকে বাঁচিয়ে রাখে। তা নিয়ে খুব উচ্চকন্ঠ হবার কি আছে ?
আমি বিশ্বাস করি কাজই মানুষের প্রধান ব্রত হওয়া উচিৎ , কন্ঠ নয়।
কারণ- বৃথা সময় নষ্ট করার মতো প্রহর বোকাদের হাতেই থাকে ।
কাহলিল জিবরান পড়ে তা আমি জেনে গিয়েছিলাম অনেক আগেই।

না - প্রিয় পাঠক , আমি তত্ত্বের ঝুলি খুলে লেখার ওজন বাড়াবার প্রয়াসী নই মেটেও। আমি যথাসাধ্য সম্ভব প্রধান এবং প্রাসংগিক কথাগুলোই তুলে ধরতে চাই।
১৯৯২ সালের বিলাত সফরের শেষ পর্যায়ে ডিসেম্বর মাসে আমি সিলেটের
উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমি নিয়মিত লিখতাম ঢাকার
বিভিন্ন কাগজেও। এর মাঝে অন্যতম ছিল সে সময়ের খুব জনপ্রিয়
সাপ্তাহিক খবরের কাগজ। এবং একই গ্রুপের দৈনিক আজকের কাগজ।
সেই লেখাগুলো আমাকে ব্যাপক পরিচিতি দেয় গোটা বাংলাদেশেই।
মনে পড়ছে , সেই ডিসেম্বর মাসেই ঢাকায় যাই আড্ডা দিতে। দৈনিক আজকের কাগজের অফিসে বসে যেদিন আড্ডা দিচ্ছিলাম , সেদিনই
আজকের কাগজের উপসম্পাদকীয়তে আমার একটা লেখা ছাপা হয়েছিল।
আজকের কাগজ এর আবীর হাসান ( পটুয়া কামরুল হাসান এর আত্মজ)
এবং আবু বকর চৌধুরী ( বার্তা সম্পাদক , আজকের কাগজ ) বলেছিলেন,
আজকে তো ফকির ইলিয়াস আমাদের উপসম্পাদক । তাই তার সম্মানেই
চা চক্র টা হয়ে যাক। আমার সাথে থাকা কবি বন্ধু মোহন রায়হান মাতিয়ে
রেখেছিলেন সেই প্রাণবন্ত আড্ডা।
..............................
৯২ এর ডিসেম্বরের ই আরেকটি বিকেলের ঘটনা । দৈনিক সিলেটের ডাক
থেকে আড্ডা দিয়ে বেরিয়েছি। সেদিনের ডাকে ই একটা ছোট সংবাদ ছাপা
হয় একটি প্রকাশনা উৎসবের । গ্রন্থটির নাম - এক মুঠো রোদ্দুর । লেখক - আহমদ ময়েজ।
প্রকশনা উৎসব অনুষ্টানের সংবাদ টি আমাকে নাড়া দেয়। কারণ এই বইটিরই একটা আলোচনা আমি লিখেছিলাম লন্ডনের নতুন দিনে। সে কথা মনে পড়ে। সিদ্ধান্ত নিই , কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ
সোলেমান হলে সেই প্রকাশনা উৎসবে যাবো।
রিকশা নিয়ে সেখানে পৌঁছি বিকেল চারটার দিকে। আমার স্বভাবজাত
ভংগিতে আমি এবং আমার সাথে থাকা আরেকজন, আমরা দর্শক সারির
মাঝামাঝি তে বসে থাকি।
সেখানে সবাই ই সবার পরিচিত । শুধু আগন্তুক আমরা দুজন। কেউ কেউ
আগ্রহের চোখে তাকান ও আমাদের দিকে। একসময় আহমদ ময়েজ নিজেই এগিয়ে এসে নিজেই কথা শুরু করেন আমার সাথে। তার ধারণা ছিল, হয়তো তারই কোনো অতিথি।
আমি সবিনয়ে আমার নাম বলি । তা শুনেই তিনি জড়িয়ে ধরেন আমাকে।
আরে আপনি ! কবে এসেছেন ?
নতুন দিনে লেখার কপি টা পৌঁছে গিয়েছিল তার কাছে আগেই। ফলে আমার আলোচনা টি দেখেছিলেন তিনি।
এই প্রকাশনা অনুষ্টান টির মডারেটর / সন্চালক এর দায়িত্বে ছিলেন
মাশুক ইবনে আনিস। খবরটি তার কাছেও পৌঁছে যায় মুহুর্তে। তিনি
মাইকে বারবার আমার নাম ঘোষনা করতে থাকেন। অভিধা দিয়ে
খবরের কাগজ কিংবা দৈনিক সিলেটের ডাকে প্রকাশিত আমার লেখাগুলোর
উদ্বৃতি ও দিতে থাকেন।
উল্লেখ করা দরকার , সে সময় সিলেটের ডাকে আমার লেখা
যুক্তরাষ্ট্রের রোজমানচা কলাম টি ১৪০ পর্বের ও বেশী ছাপা
হয়ে গিয়েছিল । সে সময় তা ছিল বেশ জনপ্রিয় একটি কলাম।
বেশ কিছুদিন পর সিলেটের কোনো জমজমাট অনুষ্টানে যোগ দিতে পেরে
বেশ ভালোই লাগছিল আমার।
আহমদ ময়েজ ও মাশুক ইবনে আনিস এর সাথে সেই অনুষ্টানেই আমার
প্রথম দেখা।
...............................
সেই অনুষ্টানে বইটির আলোচনায় অংশ নিই আমি। বইটি প্রকাশ করে
করে সপ্তর্ষী (আমার জানা মতে, সাত বন্ধু মিলে গ্রামভিত্তিক একটি প্রকাশনা করা হয়েছিল। আর এই সাত ঋষি হচ্ছেন মনি হক, সৈয়দ ওবায়দুল হক, মাশুক ইবনে আনিস, আহমদ আলী, শেখ আনোয়ারুল ইসলাম বদরুল, সৈয়দ আবুল আহমদ)।
একমুঠো রোদ্দুর - ছিল প্রকাশনা সংস্থাটির প্রথম প্রকাশনা।

( চলবে ............. )
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:১৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×