অভিজিৎ রায় এর মৃত্যুর/হত্যার পর শয়ে শয়ে ব্লগ আর ফেসবুক পোস্ট পড়ে মনে হল সুযোগে কয়েকটা গ্রুপ তৈরি হয়ে গেছে।
গ্রুপ ১ – অতি উৎসাহী প্রগতিশীল। এদের ধারনা এরা সব ধর্মের সব ব্যাখ্যা জেনে বসে আছে আর তাদের চেয়ে জ্ঞানী কেউ নাই। এরা চাচ্ছে যেকোনোভাবে দিনটাকে একটা বিশেষ দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে।
গ্রুপ ২ – গোয়েন্দা । এরা বিভিন্ন ধর্মের ফেসবুক ইউজারদের পোস্ট এর স্ক্রিনশট দিয়ে প্রমান করতে চাচ্ছে তারা খুনিকে/দেরকে খুঁজে পেয়েছে।
গ্রুপ ৩ – মৌসুমি সংখ্যালঘু/সহমর্মিতা প্রার্থী। সারাবছর ডাঁটে থাকলেও কাল রাত থেকে তারা সংখ্যালঘু হিসেবে খুব আতংকের মধ্যে আছে।
গ্রুপ ৪ – ধর্মীয় মৌলবাদের কাণ্ডারি। এদের ভাবটাও গ্রুপ ১ এর মতই মানে ধর্ম বা তার ব্যাখ্যা তাদের চেয়ে ভাল কেউ জানেনা। তারা একই সাথে বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের রেফারেন্স দিয়ে হত্যাকে ন্যায়বিচার বানানোর চেষ্টায় আছে।
গ্রুপ ৫ – চোরের মন পুলিশ পুলিশ। কেউ মুসলিমদের উপর বা ইসলাম ধর্মের উপর দোষ দিক তার আগেই বিভিন্ন মহান বাণী দিয়ে পোস্ট আর কমেন্ট বক্স ভাসিয়ে দিচ্ছে নিজেকে অসাম্প্রদায়িক প্রমান করতে। আমার মনে হয় রায় সাহেবের পরিবারের চেয়ে বেশি কান্নাকাটি এরা করে বেড়াচ্ছে।
গ্রুপ ৬ – ঘোলা পানিতে মাছ শিকারি। এরা ফিলিস্তিন থেকে গুজরাট বম্ব ব্লাসট, কাশ্মীর থেকে রামু সব টেনে এনে জল ঘোলা করে একটা বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা তৈরি করে ডুব দিচ্ছে। ভাবটা এরকম- আমি মাটি পানি মিশিয়ে কাঁদা তৈরি করে দিলাম এবার তোরা যত পারিস ছোড়াছুড়ি কর।
গ্রুপ ৭ – সুশীল। এরা দুই দিকেই তাল দিয়ে স্ট্যাটাস/ব্লগ লিখে যাচ্ছে। কেউ যাতে নারাজ না হয়। তাদের লেখার/কথার ফাঁকে অজানা কারণে একটা চিপা সুখের হাসি দেখা যাচ্ছে।
গ্রুপ ৮ – আমার গ্রুপ। জানি যে গেছে তার ও উপকার হবেনা আর যারা এই কাজ করেছে তাদের ও কিছু ছেঁড়া যাবেনা তাও নিজের সময় নষ্ট করে হযবরল লিখে যাচ্ছি। তবে এইটুকু বিশ্বাস লেখার জবাব লেখা দিয়ে দেয়াই ভাল হত, মনুষ্যত্ব হত।
জয় হোক মানুষের, দীর্ঘজীবী হোক মনুষ্যত্ব।