আজকে সন্ধ্যায় বাইরে বের হলাম আড্ডা দিতে। কে কোথায় আছে জানিনা। সাধারণত আমি মিরপুর এক নাম্বারে গিয়ে ফোন দেই সবাইকে। তারপর ঠিক করি কোনদিকে যাবো। আজকেও তাই করলাম। রিকশা থেকে নেমে একটা সিগারেট কিনলাম দোকান থেকে।
এরপর মোবাইলটা বের করে কল দিতে যাবো তখন কাছেই হৈচৈ শুনে ঘুরে তাকালাম। দূর থেকে কিছু বুঝলাম না তাই কাছে গেলাম। ঘটনা হল এক লোকের কাছে এক হিজড়া টাকা চাওয়াতে লোকটা থাপ্পড় মারে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি। এমনিতেই এই হিজড়াদের খেয়াল রাখার কেউ থাকেনা। কোন মতে চেয়ে খায়। আর কেউ কেউ করে দেহ-ব্যাবসা। যাই হোক এসব দিকে গিয়ে আর না প্যাঁচাই।
যে ব্যাপারটা আমার মজা লাগল তা হল কিছু ছাপোষা লোক দেখলাম খুব আগ্রহী হিজড়াটাকে মারতে বা কথা শুনাতে। আমার হাসিও পেল আবার দুঃখ ও লাগল। না , হিজড়াটার জন্য না। ছাপোষা লোক গুলোর জন্য। আমার মাথায় নিচের কথা গুলোই ঘুরতে থাকল............
“সরকারের চাপে অস্থির। দলীয় লোকজনের অত্যাচার সহ্য করা। ব্যাবসায়িদের সিন্ডিকেটে কোন মতে আধ পেট খাওয়া। এলাকার উঠতি মাস্তানের মেয়ের ওড়না টান দেয়া সহ্য করা। ছেলের পড়ার খরচ চালাতে হিমিশিম খাওয়া। আম- লিচু দেখে চিকনে টাকা গুনে দেখা যে কয়টা কিনলে মাসের শেষে কম ধার করতে হবে। ঈদ এর সময় বাস ভাড়ার ভয়ে বাড়ী না যাওয়া আর আড়চোখে শপিং মলের দিকে তাকানো। আরও অনেক কিছু। সর্বোপরি ভয় কে ভদ্রতার মুখোশে ঢেকে রাখা। ”
........................................................................... সব সয়ে হিজড়ার মত বেঁচে থাকা এই আমাদের সব রাগ গিয়ে পড়ে আসলে হিজড়াদের উপরে। পড়া ও উচিত। হারামি গুলো কেন আমাদের ভিতরটাকে বাইরে আনে? কেন আয়না দেখায়?