somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডাক্তার জাতটাই খারাপ......অন্যরা রসগোল্লা

১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডাক্তার জাতটাই খারাপ। এরা নিজেদের দরকারে কখনো এক হতে পারেনা। এক হতে গেলে সরকারী বেসরকারি নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক হতে গেলে সামনের মেডিকেল পিছনের মেডিকেল নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক হতে গেলে প্রাক্তন সন্ধানীয়ান বা এম সিয়ান নিয়ে ঝগড়া লাগে। এর বাইরে বড় বড় বুঝদারদের স্বাচিপ- DAB মারামারি তো আছেই। এর বাইরে আছে চিকিৎসক সমাচার টাইপ কিছু পেজ যেখানে ডাক্তারদের সমস্যা তুলে ধরবে কিন্তু কেউ যুক্তি -পাল্টা যুক্তি দিলেই তেনাদের আঁতে ঘা লাগে। আর বি এন পি পন্থী হলে তো খবর আছে। তেনারা আবার চেতনাবাজ।

এত পড়াশুনা করে ডাক্তার হয় একেকজন যা হয়ত অন্য বিষয়ে পড়তে থাকা কেউ কখনই বুঝবে না। তার আগের ১২ বছরের আতলামি তো আছেই। তারপর পাশ করে খ্যাপ মেরে মেরে পোস্ট গ্র্যাড কর নইলে বি সি এস দিয়ে এমন কোন হসপিটালে চলে যাও যেখানে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যাবস্থা ও নাই। দুই বছর গ্রামে থাকতে হবে যদিও কোন সুবিধা দেয়া হবেনা। না থাকলে শাসন করা হবে!! আরও পড়াশুনা করে মোটামুটি খেয়ে পড়ে বাচার মত অবস্থায় আসতে ৮/১০ বছর পার। ততদিনে অনেক মাঝারি রেজাল্টের বন্ধুদেরও গাড়ি হয়ে যায় বাড়ি হয়ে যায় আর ডাক্তারের বউ ভাবে কেন ক্যারিয়ার দেখে ডাক্তার বিয়ে করলাম। এর চেয়ে তো কাস্টমস এর ঝাড়ুদার ও ভাল হত।

যাক এসব বৈষয়িক ব্যাপার। এসব ডাক্তারদের মাথায় আনা যাবেনা। ডাক্তারদের কাজ তো সেবা করা। স্যরি একমাত্র ডাক্তারদেরই কাজ সেবা করা এই দেশে। অন্যরা না করলেও কিছু আসে যায়না। একমাত্র ডাক্তাররাই এই দেশে জনগনের টাকায় পড়ে আর কেউ না। একমাত্র ডাক্তারদের ক্ষেত্রেই “Human Rights” শব্দটা খাটেনা হুলো মিজানদের মতে। অবশ্য সে রানা প্লাজার ঘটনাতেও বেশ চুপ ই ছিল। যাই হোক যার নিজের প্যান্ট ধরে রাখতেও ফিতা লাগে তার কথা বেশি গুরুত্ব না দেই। অশিক্ষিত মেম্বার, চেয়ারম্যান বা তাদের চেলারা এসে কলার ধরলেও জি হুজুর জি হুজুর করে যেতে হবে। কারণ ডাক্তারদের মান-সম্মান বোধ থাকা যাবেনা। কারণ তুমি এই মহান দেশের মহান নাগরিকদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট... কীটস্য কীট, বালস্য বাল।

ডাক্তারের সনদ কেঁড়ে নেয়ার একটা দাবি দেখলাম সাংবাদিক ভাইদের। ভাইরা সবাই কোন না কোন ভাবে অনেক কিছু তো কেঁড়ে নিল ডাক্তারদের থেকে, আপনারা তো কমই চাইলেন। তবে কথাটা হল ডাক্তারদের তো আপনাদের মত এমন সুবিধা না যে PSC/JSC এর সার্টিফিকেট দিয়েও কাজে নেমে পড়তে পারবেন। এমন কি সার্টিফিকেট না থাকলেও চলবে। যদিও curious mind wants to know কয়জনের সাংবাদিকতার উপর ডিগ্রী আছে। :P তাই সার্টিফিকেটের দাম বুঝেন না। কথায় কথায় কেঁড়ে নিতে চান।

গেটের চিপায় দাড়ায় থাকেন। যে বেডটা ডাক্তার এসে ঘুরে গেছেন সেখানে ডাক্তার থাকা অবস্থায় না গিয়ে পরে যান আর গিয়েই রোগীকে শিখায় দেন যে যখন জিজ্ঞেস করবেন চিকিৎসা কেমন সে যাতে বলে ডাক্তার আসেইনা। ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঘুষ চান আর না দিতে চাইলে হুমকি দেন যে তার নামে কোন অশ্লীল খবর ছাপাবেন। কিন্তু কখনও কি ভুলেও একবার মনে হয়না ডাক্তারদের অসুবিধা নিয়ে কিছু লেখি??!! উপরে তো অনেক কিছু লিখলাম আবার অনেক কিছু বাদ ও গেল। শুধু একটা কথা বলি- উৎসবের সময় সবাই আপনজনের কাছে যান এমন কি আপনারাও। না যেতে পারলে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান আর পারলে সেখান থেকেই রিপোর্ট করেন ক্যামেরাসহ। অনেক ডাক্তার ছুটি না পেয়ে কিন্তু হসপিটালেই বসে থাকেন। আর তিনদিন পর যখন আপনাদের ছুটি শেষ হয়, পোলাও কোর্মা খাওয়া শেষ হয় এসে সবার আগে এইটাই রিপোর্ট করতে ভালোবাসেন যে হসপিটালে ডাক্তার সল্পতা। হা হা হা। ও আসলে আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম অন্য সবকিছুর মত পারিবারিক টান ও ডাক্তারদের থাকা যাবেনা।



সাংবাদিক ভাই , হুলো মিজানদের মত সবাইকে বলি- এখনো দেশে ডাক্তারদের উপর মানুষের ভরসা অনেক। আছে তাদের চিকিৎসার প্রতি আস্থা। সেটা বানিয়ে বানিয়ে নিউজ না করে একটু ঘুরলে ফিরলেই বুঝবেন। মানুষের মাঝে একটুও যদি অবিশ্বাস বেড়ে থাকে তা আপনাদের ছড়ানো মিথ্যার কারনেই বেড়েছে। ৯৫% ডাক্তার সেবা করে যায় কিন্তু আপনাদের লাফালাফি বাকি ৫% নিয়ে। সাংবাদিক বা হুলো মিজানদের ৯৫% ই তো ভণ্ড কই সেটা নিয়ে তো কোন কথা উঠেনা। জনগন চিকিৎসা পায় বলেই, জনগন সম্মান করে বলেই এখনো সব পরিবারেই বাবা মা সন্তান কে ডাক্তার বানাতে চায় সবার আগে। যদি এত ঘৃণা থাকত এটা চাইত না। এই মরার দেশে সবচেয়ে কম সুবিধা পেয়েও, দুর্বল অবকাঠামো পেয়েও ডাক্তাররা যে সেবা দেয় তা মহাকাব্যিক পর্যায়ের। মানতে না চাইলে বলি এটা হলুদ সাংবাদিকতায় প্রথম হওয়ার চেয়ে ভাল।

ডাক্তার ভাইরা সব ভুলে এক হবেন আশা করি। সবাইকে দেখানোর সময় এসেছে বিনয়ের সময় শেষ, মুখ বুজে সহ্য করার দিন শেষ। এখন একটা মারতে আসলে ১০০ টা খেতে হবে।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×