নারায়ণগঞ্জ তো সেই কবে থেকেই শামিম ওসমান সাহেবের বাপ দাদার সম্পত্তি। তার কথা বলার ধরন দেখলে কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। তার এলাকায় তিনি কোন সন্ত্রাসী থাকতে দেবেননা, তিনি একাই থাকবেন। তার এলাকায় কোন মাদক ব্যাবসা চলবে না, তিনি যদি সেখানে পার্টনার না হন।
তিনি তো এলাকার এম পি কেও হুমকি দিতে ছাড়েননা। কবরী ম্যাডাম যদিও কম না। লবিং আর দুর্নীতিতে তিনিও বেশ পাকা প্রমাণ করেছেন নিজেকে। যাই হোক তারপরেও একজন এম পি কে হুমকি দেয়ার শক্তির উৎস কি তা মনে হয় কিছুটা আন্দাজ করা যায়।
ডাঃ আইভি মেয়র হওয়ার পর ওসমান সাহেবের এর কর্মকাণ্ড একটু “পোতায়ে” যায়। এই সাহসী ও সৎ (মনে হয় তো তাই। যদিও আজকাল আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয়না। সবাইকেই পলটি-শিয়ান মনে হয়। ) মহিলার সাথে ভয় দিয়ে কাজ করতে না পেরে ওসমান ভাই একটু বেকায়দায় পড়ে যান আর কি!
তবে দুইজন একই দলের লেঞ্জা ধরে আছেন। এতগুলো লাশ যে পাওয়া গেল তাও তাদের দল বা দলের সাথে জড়িত লোকজন। তারাও খুনিদের বিচারের কথা বলে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ ও আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। কথা হল নারায়ণগঞ্জ এমন একটা এলাকা যেখানে এত বড় কিছু ঘটবে তাও নিজের দলের মাঝে আর এলাকার মাথারা জানবেন না তা মানতে একটু কষ্ট হয়। তাছাড়া শামিম সাহেব তো নিজেই বলেন তার অগোচরে নারায়ণগঞ্জে কারো ঢোকার সাহস নাই ।
সরকার ও ধরতে পারল না এখনো এই নাটকের পরিচালককে। পুলিশ, র্যা ব আর ডিজিএফআই দিয়েও কাজ হলনা যারা কিনা এর চেয়েও বড় বড় নাটকের গল্প ফাঁস করেন আশ্চর্য দ্রুততায়!!! সবকিছুতেই কি আর বিরোধী দলকে দোষ দিলে হবে? সব কিছুতেই কি আর তদন্ত কমিটি আর বিউটি কুইন সাহেরা খাতুন এর “২৪ ঘণ্টার মাঝে ধরা হবে” চলবে? নারায়ণগঞ্জ এ গদফাদার আছেই কয়টা!?
এত পাশ কাটিয়ে গেলে কিভাবে হয়? ঘটনা তো কম ঘটল না গত ৬ বছরে। সরকারে থেকে শুধু মজা নিলেই হবে দায়িত্ব নিতে হবেনা? একটা গল্প একটু বিকৃত করে বলি (সুশীলদের জন্য নহে)।
এক ২ বছরের বাচ্চাকে আশ্রমে দিয়ে দেয়া হল তপস্যা করে বড় গুরু হওয়ার জন্য। সেখানে সব মোহ মায়া থেকে দূরে থেকে তিনি ৩০ বছর তপস্যা করলেন। একদিন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় ছিলেন। এক রূপসী ষোড়শী হোঁচট খেয়ে তার উপর এসে পড়ল। চোখ খুলে দেখে তিনি একটু থতমত খেয়ে ভাবলেন ‘ইহা কি জিনিস? এমন তো আগে দেখিনি।’ একটু স্পর্শ, কিছু কথা ঘটনাক্রমে আদিম খেলায় রূপ নিল। খেলা শেষে ষোড়শী চলে যেতেই তিনি ভগবান কে বললেন, “ হে ভগবান এত সুখ যে এতদিন আমার কাছে লুকাই রাখলা তাহলে এক কাজ কর আমার এতদিনের তপস্যার ফল হিসেবে এই সাধন দণ্ড আমার সারা শরীরে দিয়ে দাও যাতে আমি বাকি পড়া সুখ ও উসুল করতে পারি।” ভগবান তার আশা পূর্ণ করে দিলেন। সাধু সাহেব ও এই অবস্থায় লোকালয়ের দিকে দৌড় লাগালেন। যে রূপসী দেখেন দৌড়ে তার দিকে যান। কিন্তু সবাই ভয়ে পালায়। আর সারা শরীরে এমন সাধনদণ্ড দেখে লোকেরা কিছুই বুঝল না ভাবল হয়ত কোন রোগ। তারা ঢিল ছুড়তে শুরু করল।
সাধু পালিয়ে আবার তপস্যার জায়গায় এসে ভগবানকে জিজ্ঞেস করলেন যে এমন কেন ঘটল।
ভগবান বললেন, “তুমি সাধন- দণ্ডের বর নিয়েই চলে গেলে। সাথে যে থলেটা ঝুলে থাকে, যা বীর্য উৎপাদন করে সেটাও তো দরকার। ওইটা না থাকায় তো কেউ বুঝেনি তোমার গায়ে ওগুলো কি। শুধু মজা নিলেই কি হবে? You have to take the reponsibility. ”
বিঃ দ্রঃ আওয়ামীলীগ কে নিয়ে কিছু লিখলে আজকাল অনেকে ছাগু বলে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে, একজন আওয়ামী ভোটার হিসেবে, একজন প্রাক্তন ছাত্রলিগার হিসেবে নাহয় মেনে নিলাম যে আমি ছাগু। কোথায় যেন পরেছিলাম “তুমি মহারাজ চেতনাবাজ হলে আজ, আমি আজ ছাগু বটে!”