আমরা ছেলে হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, আমাদেরকে ছোটবেলা থেকেই সকল ক্ষেত্রেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমান দিতে হয়।আমরা সেই যোগ্যতা প্রমানের চাপ নিয়েই বড় হই।আর সেই প্রমানের পালা আর শেষ হয় না।
আমাদেরকে ছোট বেলা থেকেই অনেক মিথ্যে শেখানো হয়।
ছেলেদের কাঁদতে মানা,কোন ব্যথা বা কষ্ট পেলে দেখাতে হবে আমার কিছুই হয়নি,ছেলে হয়ে কাঁদলে লোকে কি বলবে।সকল কষ্ট,আবেগ অনুভিতিগুলো সবসময় ভেতরেই চেপে রাখতে হয়।
কিন্তু,একজন পুরুষ যতই শক্তিশালী বা কঠিন হৃদয়ের হোক না কেন,সবার মত কোন কষ্ট বা ব্যথা পেলে তারও কান্না আসে।
.
এবং সব পুরুষরাই কাঁদে,যখন ...
বাবা কে কোন কস্টে দেখে।
মা কোন যন্ত্রণায় থাকে।
ভাই কোন বিপদে থাকে।
বোন যখন বিয়ে করে চলে যায়।
প্রিয় মানুষটা যখন কষ্ট দেয়।
সন্তান যখন কস্টে থাকে।
পরিবার যখন কোন সমস্যায় পড়ে।
.
পুরুষদের ত্যাগ এবং বিসর্জনগুলো বেশীরভাগ সময়ই চাপা পড়ে থাকে...
যোগ্যতা থাকার পরও আমাদের যখন কোন কাজ বা চাকুরী হয় না,তখন আমাদের নামের সাথে "বেকার" নামটা যোগ হয়ে যায়।আর এই "বেকার" শব্দটা আমাদের অনেকের কাছে অভিশাপের মত।
আমাদেরকে সবচেয়ে বড় যোগ্যতার প্রমান দিতে হয় বিয়ের সময়,
আমাদের বিয়ের সকল কিছু নির্ধারিত হবে,আমাদের ব্যাংক ব্যাল্যান্স কতবেশি আছে তার উপর।
আর যখন আমরা বাবা হই,
একজন বাবাকে প্রতিদিন সবকিছুর সাথে লড়াই করতে হয়,শুধুমাত্র তার পরিবারের সুখের জন্য।তবে সকল বাবাদের একটি হিংস্র এবং ভয়ঙ্কর রূপ আছে,সেটা তখনই দেখা যায়,যখন তার সন্তান বা পরিবার কোন বিপদে পরে বা কেউ তার পরিবারের ক্ষতি করতে চায়,সে তার পরিবারের জন্য যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত থাকে,নিজের জান দিয়ে হলেও সে তার সন্তান এবং পরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করে।আর বাবারা এমনই হয়।
.
এখন পুরুষরাও নির্যাতিত হচ্ছে,
কিন্তু সেই নির্যাতিত পুরুষরা বেশিরভাগ সময়ই চুপ থাকে লোকলজ্জা এবং সমাজের কারনে।আর যারা এর প্রতিবাদ করে তাদের বেশীরভাগই ন্যায় বিচার পায় না।
এবং, তখন খুব খারাপ লাগে,যখন পুরুষ নামের কিছু পশুর দ্বারা কেউ নির্যাতিত বা ধর্ষিত হয়,তখন সমাজ সেই পশুগুলোর সাথে পুরো পুরুষজাতীকে দোষারোপ করে।
.
.
.
শেষ কথা,
আমরা একসময় সবকিছু বুঝতে পারি,আস্তে আস্তে সব কিছুর সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নেই।একটি বড় গর্ত করে নিজেদের সকল স্বপ্ন,ইচ্ছে এবং চাওয়া পাওয়া গুলো সেখানে দাফন করে দেই।চোখের পানিগুলো আর বের হয় না ভেতরেই শুকিয়ে যায়।এরপর আমরা মিথ্যেবাদী হয়ে যাই যত কষ্টই হোক মুখে হাসি নিয়ে বলি ভালো আছি।আমরা যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন এই ভালো থাকার অভিনয় এতটাই নিখুঁতভাবে করে করি যে,আমাদের এই অভিনয় গুলো কখনো কেউ ধরতে পারে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮