শেষ বসন্তে আমরা যেবার হারিয়ে যাবো, সেবার ঘোরলাগা ভরা পূর্ণিমার রাতে লেকের পাড়ে বসে উপচেপড়া আলোর মিছিলে যোগ দেব। ঝিঁঝিঁর একটানা আওয়াজ আর দুটো মানুষের নিঃশ্বাস! খোলা প্রান্তর বেছে নিয়ে উত্তুরে হাওয়ার পাশে বসে আকাশের দিকে অপলক চেয়ে রইলেই চাঁদটা টুপ করে নেমে আসবে ঠিক মাথার উপর..
জোনাকজ্বলা রাতের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে গেলে মাইলের পর মাইল সরে যেতে হবে দক্ষিণে। ভেজা বাতাসের সাথে ঘাসের গন্ধ, তোর চুলের সুবাসে মাতোয়ারা রাত। দুটো মানুষ তাদের একান্ত সময়টুকুতে সবচেয়ে সুন্দর। কোন জড়তা নেই, ক্লান্তি নেই, কষ্ট নেই, অনুযোগ নেই, আছে শুধু মুগ্ধতা আর একে অন্যের ভেতর বিলীন হয়ে যাবার আকাঙ্ক্ষা...
একেকটা মন খারাপের রাতে গাড়ি চেপে চলে যাবো অনাদি নক্ষত্ররাজির পথে। আলো দেবে সপ্তর্ষী, পথ দেখাবে শুকতারা। গিয়ারবক্সের পাশে দুটো হাতের বন্ধন বাকী অচেনা রাত আর পথের দুরত্ব হঠাত করে কমিয়ে দেবে। আরো যেতে হবে অনেকটা পথ। ভোরের দিগন্তরেখার লাইন ধরেই তো আমাদের গন্তব্য!
খুব প্রিয় কিছু অনাদী বিষন্ন গানের ভেতর আসলে আমরাই আটকে থাকি। আমাদের চোখেমুখে সকালের রোদ, প্রিয় চেনা বৃষ্টি ভর করে। ভরদুপুরে জলের বাড়ি যায় মেঘের সাম্পান। তোর চুলের রঙ, মেঘের রঙ মিশে একাকার।
ভোরের মিষ্টি রোদ এসে ঘুম ভাঙ্গানো- চোখ খুলেই পাশে প্রিয়মুখ। রোদ্দুরকণারা খেলা করে সেখানে! আঙ্গুলের ভীতু স্পর্শে এলোমেলো চুলের নাচন, সলাজ ঠোটের কাঁপন...
এককীত্ব মৌলিক নয়! জীবন মৌলিক- এইসব কাছে আসার সমীকরণ মৌলিক। একাকীত্ব আবেগায়িত, একাকীত্ব বিষন্ন। পৃথিবীর সব ভালোলাগা ওই ছোট্ট প্রিয় আঙ্গুলের বন্ধনে, চুলের গন্ধে, ঠোটের স্পর্শে।
© দি ফ্লাইং ডাচম্যান | ২০১৫
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩০