সবকিছুর সম্ভবত একটা নিজস্ব বয়স থাকে! সেই বয়সের ভেতর একটা ইচ্ছে থাকে। সেই ইচ্ছের ভেতরে আমাদের মানসিক বা সাত্ত্বিক আকৃতি। সেটা কখনো চোখের মত, কখনো বা পেজা তুলোর মত দেখতে। কখনো বা হয়ত আকাশ! কে জানে! কেউ কী দেখেছে? একটা ব্রিজের মত, কিংবা একটা পরস্পর জুড়ে থাকা গাছের শাখার মত। একটা ভেঙ্গে গেলে বাকীটুকুও কোন না কোন ভাবে নষ্ট হয় যায়।
খুব সম্ভবত এই ইন্টাররিলেশন গুলো আমাদের এই বাস্তব জগতের নয়। অন্য কোন জগতে, অন্য কোন সময়ের সাথে আমাদের সম্পর্ক হয়তো বাঁধা হয়ে থাকে নিপুণ দক্ষতায়! সেগুলোর প্রত্যেকটায় যদি একটা করে ভিন্ন ভিন্ন সময়ের আমি থাকি, আমরা থাকি, তবে?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, টিনএজ আমিটা কী এখনো গীটার নিয়ে বসে? ফিঙ্গারিং আর স্কেলিং লেসন ফাঁকি দিয়ে শুধু স্ট্রামিং নিয়ে পড়ে থাকে? ডাচম্যান কী এখনো শব্দ খোজে ঘোর চোখে, ভোর দেখে আলগোছে? ব্ল্যাকের গান নিয়ে পড়ে থাকে দিন রাত? দুহাতে লিরিক লিখে যায় একদিন সুর করবে বলে?
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, সেসবের কোন একটা জগতে হঠাত করে হারিয়ে ফেলা খুব প্রিয় মানুষ বা জিনিসগুলোকে কী আবার ফিরে পাওয়া যেতে পারে?
হয়ত কখনো জানা হবে না!
অথবা হয়ত আমি জানিই। মনে পড়ছে না।
আমাদের দৃষ্টিসীমার সবগুলো রঙ আসলে একই রকম। তাই রোদের উল্টোপাশে ঝুলে থাকা শুণ্যতা এইসব প্রাণহীন অমূলদ সন্ধ্যের পথে ঝাপসা আবছায়া তৈরী করে। বৃষ্টি কণায় মিশে থাকে স্মৃতির ধুসর বৈকালিক উন্নাসিকতা। হিম জড়ানো অক্ষরে লেখা হয় সাত্ত্বিক দিনলিপি। অনাদরে জমে থাকা জলে মৃত্যুর নীল কথকতা জাঁকিয়ে বসে, ঘাসের সবুজ প্রান্তরে বেড়ে ওঠে দৈনতার বৈপরীত্ব। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে কার্তিক- মৃদু ঘ্রাণ ভাসে। এক একটা নীলচে আলোর নিচে সাত্ত্বিক দিনলিপিগুলোই পরিণত হয় ১০-১২ লাইনের বিক্ষত শব্দশরীরে,আশ্রয় খুজতে থাকে অবিমিশ্র ইথারের সুরে....
ওখানে ডাচম্যান কী করে জানিনা। এখানে ডাচম্যান নিজেকে মিস করে খুব। প্রতিনিয়ত খুজে ফেরে! আর খুজে ফেরে ইমন ভাইকে। আর সুর। আর শব্দের কর্কশ শিহরণ!
সুতো কেটে যাওয়া ঘুড়ি কি ফিরে পাওয়া যায়? হয়ত!
অথবা, হয়ত না!
(ড্রাফট)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৪১