somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজ দায়িত্বে পড়ুন...

১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাল ভারত পাকিস্তান ম্যাচ। এই নিয়ে বাঙালি(সবাই না) ভীষন উত্তেজিত। কাল আমরা মাঠে গিয়ে একদল পাকিস্তানকে সমর্থন দিব আরেকদল ভারতকে সমর্থন দিব।

এক দেশ নির্যাতন করছে ২৪ বছর। ১৯৭১ এ লাথি খাইয়া বিদায় হইছে। যাওয়ার আগে শেষ করে দিয়ে গেছে আমাদের মেধাকে। ইসলামের নাম দিয়ে প্রাণ নিয়ে গেছে ৩০লক্ষ শহীদের। যদিও এখন আবার তাদের দালালরা জোট কইরা আবার একসাথে হইতে চাই। যাই হোক তাদের অনেকেই কাল পাকিস্তানের পতাকা মাঠে নিয়ে যাবে। তাদের কাছে আগাম একটি প্রশ্ন...



আপনার ছোট ভাইকে যদি এভাবে কুকুরের খাদ্য হিসেবে ছুড়ে দেওয়া হয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে?? আপনার ছোট ভাইকে এভাবে কুকুরের খাদ্য যারা বানিয়েছে তাদেরকে আপনি সমর্থন জানাবেন?? আপনার বুক কি একবারও কেঁপে উঠবে না?? যদিও জানি যে রাজাকারদের এতে বুক কাপবে না। তারপরও অনুরোধ কাল দয়াকরে স্টেডিয়ামে গিয়ে নিজেকে পাকিস্তানি সৈন্যের সন্তান বলে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিবেন না।

এবার আসি স্বাধীনতা পরবর্তী নির্যাতনের কথায়। এখন চলছে পার্শ্ববর্তী দেশ, আমাদের চরম, পরম, গরম বন্ধুদেশ ভারতের নির্যাতন। স্বাধীন হয়েও স্বাধীন হতে পারলাম না আমরা। নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে আমাদের ভাই বোনদের। দেখার কেউ নাই। যদিও একদল গলা ফাটাই যে তারা এই করবে সেই করবে। কিন্তু আমরা তাদেরকেও ক্ষমতায় দেখেছি। তারা ভারতের একটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে পারে নাই। আবার তারাই কিনা বিএসএফ নামক জানোয়ারদের বিচার করবে?? যাই হোক আরেক দল তাদের পা চাঁটার কাজে। বন্ধু দেশ বলে বলে সবই উজার করে দিতেছে। তো কাল পাকিস্তানের সাথে কিছু পাকিস্তান প্রেমীর সাথে খেলা দেখতে মাঠে যাবে কিছু ভারত প্রেমীও। তাদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন...



এটি আপনার বোনের ছবি হলে আপনি কি পারবেন মাঠে গিয়ে ভারতের পতাকা উড়াতে? অবশ্য আপনারা পারতেও পারেন। কারণ আপনারা তো আবার তাদের পা চাটা লোক। দেশের মাটিতে ঐসব দেশের পতাকা ঊড়াতে আপনারা সম্মানবোধ করেন। কাল যারা ভারতের পতাকা উড়াবেন তাদেরকে আমরা বিএসএফ এর সন্তান বলেই ধরে নেব।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৪
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্পা এবং দেহ ব্যবসায়ীদের কথা শুনলে রেগে যাবেন না

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৪৯



পুরো পৃথিবীতে স্পা এর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার। এইসব স্পা-গুলোর বেশির ভাগই গড়ে উঠেছে ইউরোপে। এশিয়া - প্যাসিফিকের দেশগুলোতেও স্পা-এর সংখ্যা কম নয়। ৫১ হাজারেরও বেশি। বাংলাদেশে স্পা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম বিহীন বিশ্ব গড়ার চেষ্টা বিশ্ব জনসংখ্যা অনেক কমিয়ে দিবে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৫০



নেতানিয়াহু বলেছে তাদের সাথে অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র আছে। সে মুসলিম বিশ্বকে বড় রকমের হুমকি দিয়েছে। সে গণহত্যা চালাচ্ছে। আত্মরক্ষায় মরিয়া মুসলিমরাও গণহত্যা চালাবে। তখন আর সভ্যতার বাণীতে কাজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার মিরর ডোল, নিজের মনের অশান্তি অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে ফ্যাসিস্টের মতো আচরণ করবেন না

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৩৫

ব্লগার মিরর দৌলাকে বলছি।
আপনাকে কিছু কড়া কথা আজ বলবো। ব্লগে বর্তমানে আপনার কোন অবদান নেই। সামুর যে ব্লগপেইজটা আপনি চালান, সেখান থেকে সব পোষ্ট আপনি ড্রাফটে নিয়েছেন। সেটা আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এনসিপিনামা - যে যায় লংকায় সেই হয় রাবণ ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১


জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক দল আত্নপ্রকাশ করেছে। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি) কে নিয়ে। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের নিয়ে এই দল গঠিত হয়েছে। প্রচলিত রাজনৈতিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

হারিয়েছি অনেক কিছু....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫৪

হারিয়েছি অনেক কিছু....

আমি প্রতিদিন নিয়ম করে বেশ কয়েক কিলোমিটার হাটি। তবে ইদানিং হাটাহাটিতে অপ্রত্যাশিত ছন্দপতন হচ্ছে! এই যেমন, হাটাহাটির টার্গেট মিসিং! যে পথে হাটার কথা, সে পথে না গিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×