somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গবেষক মরুপেঁচার জীবনে দেখা কিছু বিচ্ছিন্ন প্রেম কাহিনী

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলা থেকেই আমি কথা কম বলি। শুনেছি বোবার কোন শত্রু নাই। ;) যারা কথা কম বলে তারা নাকি চোখে বেশি দেখে।;)


যাই হোক শত্রু কমাতে গিয়ে আমিও ঘাপটি মারলাম। এবার তো বসে থাকলে চলে না। দেখার কাজ বাড়াতে হয়। আর শুধু শুধু দেখে কি লাভ,যদি কিছু নাই শিখলাম ?
তাই বন্ধুদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম। এছাড়া বাসার বারান্দায় বসে বসে প্রতিদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা দেখতে শুরু করলাম। ভালই লাগলো। সেখান থেকে আর বন্ধুদের জীবন থেকে কিছু বিচ্ছিন্ন 'বিশেষ' ঘটনা নিয়ে এই ব্লগটা লিখবো বলে ঠিক করেছি।
আগেই বলে রাখিঃ এই ব্লগের সমস্ত চরিত্র কাল্পনিক। ;););)
কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে সে যেন এটাকে কাকতালীয় মনে করে। :P
কাল্পনিক ঘটনা (!) , তাই নাম গুলো কাল্পনিক।
শেষ প্রেমঃ
ছোট বেলা থেকেই আমি এক অতি ভাগ্যবান ছেলেকে চিনি। তার জীবনে প্রেম মাত্রই ইতিহাস এর অংশ। আমার ধারণা এই বন্ধুটি তার জীবনের এক বড় অংশই প্রেম করে কাটিয়ে দিয়েছে। ( এবং অবশ্যই আনেক সময় নষ্ট করেছে :D)। আমার কাজ ছিল - বসে বসে দেখাঃ 'কোথাকার জল কোথায় গড়ায় ?' যাই হোক জল দূর্বার গতিতে পাড় ভেঙ্গে ভেঙ্গে ছুটে চললো।
এই বন্ধুটিও একের পর এক প্রেম করে গেল। মজার ব্যাপার হলঃ সে তার প্রতিটা প্রেমিকাকেই পূর্বের সব প্রেমের কথা জানাত এবং সব শেষে বলতো- 'তুমিই আমার শেষ প্রেম'। এভাবে ১..২...৭..৮..... :P:P:P:P:P:P বন্ধুটি আসলেই ভাগ্যবান। তার বর্তমান প্রেমটি সত্যিকার অর্থেই সর্বশেষ। :) তাদের জন্য দোয়া করবেন।
শিক্ষাঃ সবুরে মেওয়া ফলে
দৌড়ের উপরঃ
- দোস্ত ! তুই কই ?
- আমি দৌড়ের উপর আছি। তোর ভাবি ডাক দিসে। :D
ভাববেন না এইটা খুব স্বাভাবিক দৌড়। নায়ক থেকে ঢাকায় আর নায়িকা ঢাকার অদূরের কোন শহরে। ঘটনা ৫-৬ বছর আগেকার। ইন্টারনেট এ পরিচয়। কে জানত নায়িকার বাসা অন্য শহরে। বেচারা নায়ককে কোচিং এর শিক্ষকদের ফী বাড়িয়ে বলে বাসা থেকে টাকা জোগাড় করতে হত। এরপর 'আজকে বন্ধুর বাসায় আড্ডা দিব' বলে সাত সকালে সোজা বাস স্ট্যান্ড এর দিকে দৌড়াতে হত। অফিস ধরার জন্যও কোন মানুষ এত সকালে বের হত কিনা সে ব্যাপারে আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে।;)
শিক্ষাঃ সবার আগে জেনে নিবেন মেয়ের বাসা কোথায়
অপেক্ষা আর বোকা ছেলেঃ
অপেক্ষার সাথে বোকা ছেলের পরিচয় কিভাবে হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে আমি এদের অনেক হাসি-কান্নার নীরব সাক্ষী। একদিন দেখলাম ছেলেটি মুখ কাঁচুমাচু করে কি জানি লেখা একটা কাগজ মেয়েটার হাতে দিল। এর পর মেয়েটাও লাজুক মুখে কিছু একটা বলল। এর এক ঘণ্টা পর একটা ঘটনা ঘটল। সেটা পরে বলা হবে। এভাবে চললো কিছু দিন। অপেক্ষার নাম কেন অপেক্ষা দিলাম সেটাই আগে বলি। এই মেয়ে প্রতিদিন দুপুর বারটার সময় বেল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকত। আর বোকা ছেলে !!! সে আসতো পৌনে একটার সময়। এই সময়ে অপেক্ষা ফোনে কথা বলত। সময় মতন বোকা ছেলে আসত। এই সময় মেয়েটার মুখে হালকা একটা হাসির আভাশ দেখা যেত। যেনতেন হাসি নয়, কোটি টাকার হাসি ;)। এরপর এক কি দু- ঘন্টা। প্রথম দিনের মত চলে যাওয়ার সময় ছেলেটি একটা কাগজ দিত। আর মেয়েটা মুখে কিছু একটা বলত। এরপর ছেলেটা চলে যেত। যাবার সময় বারবার পেছন ফিরত। ছেলেটা চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর মেয়েটা হাতের কাগজটা ছিড়ে ড্রেনে দেলে দিত !!!! :P:P:P
বলেন- খাইসে আমারে !!!
শিক্ষাঃ পৃথিবীটা অনেক বড় এক রঙ্গশালা।
আবিরাম ঘটে চলেছে রহস্যময় খেলা।।

নির্বোধ এর প্রেমঃ
নির্বোধ এর বোধ শক্তি কম ছিল। তা না হলে যে নায়িকার পিছে সকলে ছুটল তাকে কি কোন মানুষ এভাবে উপেক্ষা করতে পারে ? নির্বোধ এর সাথে আমার পরিচয় একেবারে ছোট্টবেলা থেকে। ;) যাই হোক নির্বোধ একবার মনের ভুলে কি জানি এক ভুল কথা মুখ ফসকে বলে ফেলেছিল । তাতেই নায়িকা কুপোকাত। আর নির্বোধ ভয় পেয়ে সেই যে উল্টা দিকে দৌড় শুরু করলো তা আজও থামেনি।;)
শিক্ষাঃ নির্বোধ এর কাছ থেকে আপনাদের শেখার কিছু নেই। তবে উনি আমার শিক্ষা গুরু।;););)
উনি আমাকে শিখিয়েছে- 'কি করে উল্টা পথে হাঁটতে হয়।'


উনার একটা মহামূল্য বানী দিয়ে শেষ করছি-
" কেঊ বলে প্রেম অমুল্য, কেউ বলে প্রেম পাপ। কিন্তু জ়েনে রেখ প্রেম শুধুই হরমোন এর খেলা। আড্রেনালিন হরমোন এর প্রভাবে প্রেমভাব জাগ্রত হয়। ভয় পেলে এই হরমোনের প্রভাবে চোখের তারা বিস্ফোরিত হয়। মন থেকে ভয় দূর হয়। শ্বাস- প্রশ্বাস গাঢ় হয়। শরীরে 'আতিমানবীয় শক্তি' জাগ্রত হয়। চকোলেট খেলেও একই ঘটনা ঘটে। "
শিক্ষাঃ প্রেম থেকে দূরে থাকুন। বেশি বেশি চকলেট খান। শিশুর মত বাঁচুন।
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের পহেলা বৈশাখ! এবার ১৪৩২।

লিখেছেন নাজনীন১, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১৬


বাঙলা বা ইংরেজি যেকোন নববর্ষই আমাদের জন্য আনন্দের ইংরেজি অবশ্য বছরের শেষ রাতটা সবাই অনেক আনন্দ করে। সে হিসেবে পহেলা বৈশাখের আনন্দ সাধারণতঃ দিনের বেলায়।

যদিও এবার জমকালো বৈশাখী লেজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

লীগের মাস্তানদের নির্যাতনে বিসিএস ক্যাডার পরিবার অসহায়, একঘরে হয়ে আছি!

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৫:৩১


যে পরিবারটি আমাদের জীবনকে নরক বানানো শুরু করেছে, সেটি সুমন রায়ের পরিবার। দেখুন তাদেরই কিছু পাগলামি ও অপকর্মের প্রমাণ যা ক্যামেরায় ধরা পড়লো। ক্যামেরা না থাকলে বা অগোচরে কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ডায়েরী- ১৫০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৩



গতকাল ছিলো বাংলা নববর্ষ।
সকালে এক জরুরী কাজে আমি উত্তরা গিয়েছিলাম। আমার তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার কথা। কিন্তু দেরী করে ফেললাম। আজ বাসার সবাই মাওয়া যাবে। সেখানেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই সময়ের কিঞ্চিৎ ভাবনা!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

বাক স্বাধীনতা কিংবা যা মনে আসছে তাই লিখে বা বলে ফেলছেন, খুব একটা ব্যাক স্পেস চাপতে হচ্ছে না এখন, তবে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এবং যে কোন দল নির্বাচিত হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৮

কেন বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার.....

হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক ১০ জনের একটা গ্রুপ আছে। আমরা বেশীরভাগ সময়ই সমসাময়ীক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। গত তিনদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×