জাফলং : ১
জাফলং : ২
জৈন্তাপুর : ১
জৈন্তাপুর : ২
জৈন্তাপুর : ৩
ভোলাগঞ্জ : ১
ভোলাগঞ্জ : ২
ভোলাগঞ্জ : ৩
ভোলাগঞ্জ : ৪
ভোলাগঞ্জ : ৫
অনেক পাহাড়ের গল্প হলো। প্রকৃতির গল্প হলো। সৌন্দর্য্যের গল্প হলো। এবার আসুন অন্যরকম একটা গল্প শুনি। এই গল্প পাথরের গল্প। পাথরের সাথে দিন রাত কাটানো মানুষের গল্প। এইটাকে একটা সিরিজ বলা যেতে পারে। যদিও একি ধরনের একটা সিরিজে রঙিন এবং সাদাকালো ছবি মিশিয়ে ফেলা আমার পছন্দ না। তাও ছবির ধরনের উপর নির্ভর করে অপছন্দের কাজটা করলাম।
নাহ, প্রকৃতি একে উদাস করে দেয়নি। এই উদাস চাহনী ক্লান্তির বহিঃপ্রকাশ। রোদ-বৃষ্টিতে মাখামাখি হয়ে ছোট ছোট হাত দুটোও হয়তো হয়ে গেছে এই পাথরগুলোর মতন ধাতব।
এই পরিবারটার ভবিষ্যত কি? কেউ কি আমায় বলতে পারেন? ছোট ছোট দুটো ছেলেকে নিয়ে দিনভর চলছে পাথর সংগ্রহের কাজ। ছেলেগুলো বড় হওয়া পর্যন্ত এখানে পাথর থাকবে কিনা কে জানে? যদি না থাকে তাহলে কোমর ধরে যাওয়া পরিশ্রম করে বেড়ে উঠা ছেলেটি কি করবে ঠিক জেনে নেয়া হয়নি।
একটু বিশ্রাম নেয়া। আসলে একটু দম নিয়ে নেয়া। পেছনে আকাশে মেঘের ঘনঘটায় কাজের কোন বিগ্ন ঘটবে না। বরং তীব্র রোদের চেয়ে এই বেশ ভালো, এই ধরনের অভিব্যক্তিই যেন ফুটে উঠেছে লোকটির চাহনীতে।
নতুন জামা কাপড়ের কেনাকাটা চলছে। তবে সময় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই কাজটাও চলছে পাথরের মাঝে। পাথর আর জীবন এখানে এক সুতোয় গাঁথা।
অবশেষে একটু সময় পাওয়া গেছে। এই সুযোগে রান্না চড়ে গেছে। পেট পুঁজোতো করতে হয়, জীবনের যেকোনো বাঁকেই।
সারাদিনের অল্প কিছুটা সময় পাওয়া যায় হয়তো নিজেদের মত করে। সেই সময়টাও পাথরের উপর বসে পাথুরে জীবনের দোলাচালের গল্প চলে। এই টুকুতেও হয়তো লুকিয়ে আছে অন্যরকম ভালোবাসার গল্প, যা আমাদের অজানা।
অবশেষে আবারো অপেক্ষমান। দূরে যেই নৌকাগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলোরই কোনো একটির অপেক্ষায়। আবারো শুরু হয়ে যাবে পাথরের সাথে জীবনের অন্যরকম আতাত। এরই নাম পাথুরে জীবন।