সেদিন ছিল আলো ঝলমলে দিন। গুচ্ছ মেঘের ভেলা আকাশ জুড়ে। মনে হচ্ছিল এ যেন প্রকৃতি নয়। কেউ একজন খেলছেন রঙ তুলি নিয়ে। সাদা নীলের এক বিশাল ক্যানভাস জুড়ে।
হঠাৎ থমকে দাড়াই এই ঘাটের সীমানায়। আকাশ, নদী আর নৌকা। কোথায় যেন খুব মিল। মনে হয় খুব চেনা। আরে হতেই হবে, এযে বাংলার প্রতিচ্ছবি।
মুখ তুলে আকাশের পানে চেয়ে মনে হয় উড়ে চলে যাই ওই দূর দেশে। হারিয়ে যাই অসীম শূন্যতায়,তাতে যদি কেটে যায় আমার মাঝের শূন্যতা।
হঠাৎ যেন বদলে গেল চারপাশ। একটু একটু করে আঁধার কাটাকুটি খেলতে শুরু করলো আলোর সাথে। মেঘেরাও যেন নিজেদের মাঝে জমাট বাঁধতে শুরু করলো।
ঐ প্রান্তরে ওরা ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছে? জানা হয় না। শুধু মনে হয় আমার অস্থিরতা যেন ছড়িয়ে পরেছে আকাশে।
এদিক তাকাই ওদিক তাকাই। আমি খোলা আকাশ খুঁজি। মুক্ত খোলা প্রান্তর চাই। আলো চাই। শান্তি চাই। আমি এতটুকু আশ্রয় চাই। একটা দিনের জন্য হলেও।
অবশেষে আমার হৃদয়ের ক্রন্দন যেন অশ্রু হয়ে ঝরে, বৃষ্টি হয়ে, ঐ আকাশ থেকে।
নিস্তব্দতা নেমে আসে অবশেষে। ঝড়ের সমাপ্তি হয়ে হয়ে। কেউ নেই আশে পাশে। শুধু একা, আমার এই পথচলা।
অনেক ক্লন্তি ছাড়িয়ে ফেলে, আমি এগিয়ে যাই মিষ্টি আলোর সন্ধানে। আমার একটু আলো চাই।
ধীরে ধীরে দিনের আলো, নেমে আসে, ছেয়ে আসে, চারপাশে।
আমি দুহাত প্রসারিত করে নিজের দৈর্ঘ্য বাড়াই। আমি শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গ দিয়ে আলো শোষন করি। এই সমস্ত বিচ্ছুরন শুধুই আমার।
দিনের আলো নিভে এল। পালিয়ে বেড়ানো একটা মাত্র দিন যেন এভাবেই চলে গেল ক্ষনিকের তরে। এবার তবে বাড়ি ফেরার পালা। কাল সকালে, উফ, সেই একি রুটিন। চোখ কঁচলাতে কঁচলাতে কাধে খাবারের পুটলি নিয়ে, অফিস যাত্রা।