সম্প্রতি তা'লীমুদ্দিন ফাউন্ডেশন নামে একটি নতুন গজিয়ে উঠা সংগঠন "কাদিয়ানী মতবাদ" নিয়ে বেশ কিছু বক্তব্য তাদের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছে। মনোযোগ দিয়ে তাদের বক্তব্যগুলো শুনে যে কথা আমার মনে জেগেছে তা হল:
১। "নতুন বোতলে পুরাতন মদ পরিবেশন" বাংলা এই প্রবাদটির কথাই সর্বাগ্রে মনে হয়েছে। কারণ নতুন কায়দায় যেসব অভিযোগ তারা পরিবেশন করছে তা বিগত ১২৫ বছর ধরেই বিভিন্ন সংগঠন ও আলেম-ওলামাগণ বলে আসছেন। আহমদীয়া মুসলিম জামাত এইসব মিথ্যাচারের যথাযথ জবাব বারবার দিয়ে আসছে। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্য সত্যকে অনুসন্ধান না করে শুধুই সত্যের বিরোধিতা করা তারা নির্লজ্জের মত একই কথা বারবার বলে থাকে।
২। এই প্রচারটির দ্বারা আহমদীয়া জামাতের কোন ক্ষতি তো হবেই না বরং অগনিত লোকের মনে এই জামাত সম্বন্ধে আগ্রহের সৃষ্টি হবে এবং তারা সত্যের সন্ধানে যোগাযোগ করবেন। এতে সত্যের প্রচার হবে এবং উক্ত ফাউন্ডেশনের চালাকি ধরা পড়বে। বিগত ১২৫ বছর ধরে একই পদ্ধতিতে আহমদীয়াতের উন্নতি হয়ে এসেছে এবং আজ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী দুইশরও অধিক দেশে আহমদীয়া জামাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ আহমদীয়াত গ্রহণ করে খাটি ইসলামকে লাভ করেছে।
৩। যারা এই কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন তারা যদি আন্তরিকভাবে সত্যের সন্ধান করতে চান তাহলে আল্লাহর কাছে এই ব্যাপারে দোয়া করে সত্য জেনে নিতে পারেন। কারণ আহমদীয়া বিতর্ক নিছক একটি ধর্মীয় বিষয় যার মূল উদ্দেশ্য সত্যকে লাভ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। জাগতিক উদ্দেশ্যে যারা সত্যের বিরোধিতা করে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং এ যাবতকাল পর্যন্ত আল্লাহই হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আ.) এর বিরোধিতাকারী শত শত লোককে ধ্বংস করে দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ: মৌলানা আতাউল্লাহ শাহ বুখারী, মৌলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরি, মুহাম্মদ হোসেন বাটালবী, পন্ডিত লেখরাম, আবদুল্লাহ আথম, আলেক্সান্ডার ডুই এবং ইদানিংকালের জুলফিকার আলী ভুট্টু ও জেনারেল জিয়াউল হক প্রমুখ। কিন্তু দু:খের বিষয় হল এইসব দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার মত লোক স্বল্পই হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৮