লক্ষীপুর কারাগারে তাহের পুত্র বিপ্লবের বিবাহ ও বাসর এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি ।
এ ঘটনা যেমন রঙ্গ রসের সৃষ্টি করেছে আবার ক্ষমতার দাপটকেও দেশবাসীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।
বিষয়টা হয়ত এতটা আলোচিত হতনা যদি ঘটনার নায়ক লক্ষীপুরের গডফাদার খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত আবু তাহের পুত্র বিপ্লব না হতেন ।
সত্য বলতে এই বিবাহ একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এখানে মন্দ কিছু হয়নি বরং ভবিষ্যতের জন্য ঘটনাটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ।
বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে হাজার হাজার কয়েদীর অবস্থান ।
এসব কয়েদীর অনেকেই আছে যাবজ্জীবন অথবা দীর্ঘমেয়াদে কারাদন্ড প্রাপ্ত । যারা বাহিরের জগত থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । এই বিচ্ছিন্নতা হেতু এসব কয়েদী তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এই বঞ্চনা তাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে একটি ভয়ংকর পাপ ও মারাত্মক সাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ।
যদিও কারাগারে অবিবাহিত ও বিবাহিত কয়েদীরা বঞ্চিত হচ্ছে বিবাহ এবং তাদের স্ত্রীদের সান্নিধ্য থেকে কিন্তু তাই বলে তাদের জৈবিক চাহিদা কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে যায়নি । বরং দীর্ঘ দিন জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ না থাকায় এসব কয়েদী এই চাহিদা পূরণে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমকামিতার মত একটি জঘণ্য পথকে বেছে নিচ্ছে । ফলে কারাগারগুলো সংশোধনাগার না হয়ে উল্টো পাপাচারের আখড়ায় রুপান্তরিত হয়েছে ।
কারাগারে সিনিয়র কয়েদীদের শিকার হচ্ছে মূলত নবাগত কয়েদীরা বিশেষ করে যারা অল্প বয়স্ক । কারাগারে চলমান সমকামিতা সম্পর্কে জেল সুপার থেকে শুরু করে কারারক্ষী পর্যন্ত সবাই অবগত কিন্তু বিষয়টি সমাধানের যেন কেউ নেই ।
এ অনৈতিক কর্ম ও পাপাচার থেকে উত্তোরণে প্রতি মাসে বা সপ্তাহে বন্দীদের জন্য নির্দিষ্ট এক বা একাধিক দিন কারাভ্যন্তরে নির্ধারিত কক্ষে তাদের স্ত্রীদের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটানোর ব্যবস্থা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে ।
এতে করে যেমন কারান্তরীণ পুরুষ অথবা মহিলা কয়েদী তার জৈবিক চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারবে ঠিক তেমনিভাবে কারাগারের বাহিরে অবস্থানরত তার স্ত্রী/স্বামীও পরকিয়ার মত পাপাচার/ সামাজিক অনাচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে সক্ষম হবে ।
তাই কেবল তাহের পুত্রদের জন্য সুযোগটি অবারিত না করে কারাগারে অবস্থানরত সকল বিবাহিত ও অবিবাহিত কয়েদীর জন্য এ সুযোগের দ্বার খুলে দেয়াটা এখন মানবিকতার দাবী ।