অপেক্ষাকৃত কম দামে গরু কেনার কয়েকটি টিপস দেই।
১। এগ্রো ফার্মের গরু দামী। এদের অপারেটিং কস্ট তুলনামূলকভাবে বেশি, ফলে দামও বেশি।
২। ব্যাপারীর গরুর দামও একটু বেশি। কারণ এইটা তার ব্যবসা, ঈদের কিছুদিন আগেই গরু কিনে এনেছে, লাভ ছাড়া বিক্রি করবে না।
৩। ব্যাপারী চিনবেন কিভাবে? সে গরু আনে দশ-বিশ-চল্লিশটা। প্রথমে দাম চাইবে ২.২০ লাখ, কমাইলে চাইবে ২.০০ লাখ, আরেকটু কমাবে ১.৮০ লাখ। বেচবে হয়তো ১.৬০/১.৭০ লাখে।
৪। গৃহস্থের পোষা গরুর দাম কম। সে গরু আনবে দুইটা তিনটা বা পাঁচটা। দাম চাইবে ২.২০ লাখ, কমাবে ২/৫ হাজার।
৫। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গায় গৃহস্থ চাষী বেশি। পাবনা, জামালপুরের গৃহস্থও পাবেন। টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জের গরুর দাম বেশি।
৬। লাল গরুর দাম বেশি।
৭। দেশী গরুর দাম বেশি। ক্রস বা শংকর গরুর দাম কম। চিনবেন কিভাবে? দেখতে কম সুন্দর, গায়ের রঙ সাধারণত কালো, কুঁজ হয় না। মাংস বেশি। কসাইদের প্রথম পছন্দ।
৮। ব্যাপারীর সাথে আলাপে দাম কমে না, তাই আলগা পিরিতের দরকার নাই, সরাসরি দরকষাকষি ভালো। গৃহস্থের গরু কিনতে হলে খাতিরের বিকল্প নাই।
বাজারে গরু আসতেছে, কিন্তু প্রচুর বিক্রিও হচ্ছে। রাতের বাজার দেখলে বুঝতে পারবেন না রাত কতটা গভীর। গরু কিনে না থাকলে দ্রুত কিনে ফেলুন।