তুমি কি খুঁজছো আনন্দলোক? স্বর্গ খুঁজছো তুমি?
কিসের জন্য এত হাহাকার- কিসের জন্য ছোটা?
কপালে সিদুঁর কিংবা অসুখ- কালো কালো হয়ে ওঠা
ত্বকের চিহ্ন দেখিয়ে বলছো- আমার ‘জন্ম ভূমি’!
তুমি কি পেয়েছো স্বর্গের সিঁড়ি? দেখেছো বোরাক তুমি?
কেন তবু এত তর্ক বিচার- কেন মাসায়েল কেনা
শত রেফারেন্স, দেশ বিদেশের অনুবাদ বেচাকেনা
গর্বোদ্যত জ্ঞানীর ভড়ং টুপি পাঞ্জাবী চুমি?
তুমি কি জেনেছো মৃত্যুর পর- আগুন না শিতলতা
তোমার ভাগ্যে? জানছো কি তুমি অংকের ভাগশেষ
কতটা নিখুঁত? কতটা সরল- জীবনের অবশেষ
ঘৃতের- আগুন, নাকি কফিনের চারপাশে বণলতা?
তুমি কি? তোমার পরিচয় কেন- এতোটা জটিল জট
নিজেকে না চিনে চিনতে চাইছো চারপাশ-চারদিক
বিদ্যা এবং বুদ্ধির জোরে দেখছো; চাইছো ভিখ
ভাব দেয়া যেন এতেই জানবে মৃত্যুকে অকপট।
সাবধান হও নিজেকে বাঁচাও; অন্যের কথা থাক
নরকে যে যাবে যাক না নিজেই; নিক স্বর্গের ভাগ
আমি শুধু ভাবি নিজের নিয়তী- চেতনা আমার জাগ
স্বর্গেও যদি নর্দমা থাকে, এ-ঘরে গোলাপ থাক।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৫