নামে কিই বা আসে যায়??
অনেক কিছুই আসে যায়। আর আসে যায় বলেই দুনিয়ার সবাই নাম কামাতে চান। যাতে নাম দেখেই তাকে চেনা যায় আরকি?
তবে আজ আমি সামহোয়ারইন.....ব্লগের এমন কয়েকটা নাম আপনাদের দেখাবো যা দেখে আপনি একবারেই তাদের চিনতে পারবেন না!
সবার প্রথমেই বলি নতুন ভাইয়ের কথা
এই তো সেদিনের কথা, আমি তখন এক মাস, দুই দিন, তিন ঘন্টা ব্লগে কাটিয়ে সিনিয়র ব্লগারের তকমাটা গায়ে এঁটে ভাব নিচ্ছি আরকি!! ঠিক তখনি নতুন নামে একজন আমাকে ভারি একটা মন্তব্য করে গেলেন। আমিও চটে গিয়ে ব্লগিং শেখাচ্ছি এমন ভাব নিয়ে বলতে চাইলাম ব্যাটা নতুন ব্লগে এসেছো অথচ এক মাস, দুই দিন, তিন ঘন্টা ব্লগে কাটানো সিনিয়ারদের সম্মান জানাতেও জানোনা। কিন্তু বলার আগেই কি মনে করে যেন তার টাইম লাইন থেকে ঘুরে আসি এবং লক্ষ্য করি উনি ব্লগে আছেন মাত্র একশ বত্রিশ মাস ধরে এবং তারপরও তিনি নতুন। বলেন আমারও বা কি দোষ!
এবার বলব রেজা ঘটক ভাইয়ের কথা
এই ভদ্র লোককে ব্লগে দেখে কত অবিবাহিত ব্লগার যে খুশিতে গদগদ হয়েছে তাহার ইয়াত্তা নাই! তার ঘটকলিতে নিজের বিয়ের সিকি ছেড়ানোর আশায় কতো ভাবেই যে তাহারা ফটুক তুলেছেন তারও সীমা নাই ! কিন্তুক বিয়ের জন্য ফটক দেয়া তো দুরের কথা তাহার দেখা মেলাই ভার! অগ্যতা সবাই এখন ঘটক পাখি ভাই এর চেম্বারে!
এবার একজন আপির কথায় আসি ওনার নাম জুন
ইংরেজি বছরের ৬ষ্ঠ মাস। আমাদের দেশে যেটা খুব তপ্ত এবং গরম একটা মাস! অথচ ওনার মনটা একবেরেই তপ্ত নয়। এইতো সেদিন আমার একটা ভুলের কথা এমন ভাবে বলে গেলেন যেন ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে তিনি অপরাধই করে ফেলেছেন! আরে মোনটা এত ঠান্ডা থাকলে নামটা ডিসেম্বর বা জানুয়ারি দিলেই তো হত। আপনারাই বলেন জুন এই নাম দেখে তার নরম মনের কথা কি বোঝা যায়!!!!
ব্লগে আর এক ভদ্র লোক আছেন নাম হাতুড়ে লেখক
এই নামটা যতবার পড়ি ততবারই আমাদের হাতুড়ে ডাক্তার টাকলু মেয়ার কথা মনে পড়ে। বেটায় ছোট বেলায় আমাকে একটা ইনজেকশন দিছিল! উহ সেকি ব্যাথা!! ওই ব্যাথা আমি আজো ভুলতে পারি নাই! সেই থেকে হাতুড়ে নামটা আমার চোখের বিষ এমনকি বাংলাদেশ দলের কোচ হাতুড়ে সিং ও। হাতুড়ে ডাক্তার টাকলু মিয়ার উপর ক্ষোভটা তাই হাতুড়ে লেখকের উপর ঝেড়ে দেওয়ার ইচ্ছাটা আমার বহুত পুরানো। কতদিন ভাবছি আজই তাহার পোস্টে গিয়া কমু ব্যাটা কি লেখোস এইগুলা যেমন নাম তেমন লেখা। কিন্তু সে সৌভাগ্য আমার হয়নি। ব্যাটার লেখাগুলো একেবারেই হাতুড়ে লেখক সুলভ নয়। কিন্তু নামটা তবুও হাতুড়ে লেখক!
আর এক জন হলেন সাদা মনের মানুষ আমাদের কামাল ভাই
আপনারাই বলেন মন মানে তো হৃদয় মানে হার্ট নাকি?? আর হার্টেতো রক্তই থাকে তাই না? যেহেতু রক্তের রং লাল তাহলে ঐ ভদ্রলোকের হার্টটাও তো লাল হবে। তাহলে তিনি সাদা মনের মানুষ হবেন কিভাবে উনিতো হবেন লাল মনের মানুষ!!!! ওনার রং বেরংয়ের ছবি গুলোও কিন্তু সেই কথাই বলে। তাহলে বলেন নাম দেখে কি ওনাকে চিনতে পেরেছেন??
এবার বলব একজন রাখালের কথা। ভদ্র লোকের নাম আরণ্যক রাখাল
নামটা যেহেতু রাখাল তাই হাতে একটা বাঁশি তো থাকবেই নাকি?? ওনার নাম দেখে কত নারী ব্লগার বাঁশির সুরে মোহিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন আল্লাহ মালুম। তবে বিশস্ত সুত্রে পাওয়া খবর বলছে ওনার ব্লগ বাড়িতে বাঁশিতো দুরের কথা বাঁশের দেখা মেলাই ভার। চিন্তা করেন বাঁশি বাজান না সে আবার রাখাল! নাম দেখে কি চিনতে পেরেছেন!
ব্লগে কিন্তু একটা বাড়ি আছে নাম মাঝি বাড়ি
মাঝি বাড়ি নামটা দেখে বহুত পোলাপাইন ব্লগে যে ফাল মারছিল সে খবর আপনারা সবাই কম বেশি জানেন। আর উঠবেই বা না কেন?? তাহাদের পছন্দের সখিনা, জরিনাদের কত আগেইতো কথা দিছিল নৌকায় বুড়িগঙ্গা নদী ঘুরাইবো। কিন্তু মাঝির অভাবে এতোদিন সেই সাধ পূরন হয়নাই। তাই ব্লগে মাঝিবাড়ি পাইয়া উহারা বহুত খুশি! কিন্তু বিধি বাম মাঝি বাড়িতে মাঝিতো নাই এমনকি মাঝিদের কোন বউও নাই। কি আর করা!! পোড়া কপাল জোড়া লাগেনা !
এবারে আসি আরেক হারামির কথা তাহার নাম বির( বিলিয়ার রহমান)
আমি ওনাকে যতটুকু চিনি উনি একে বারেই বীর নন। যুদ্ধ তো দুরের কথা ভুত পেত্নি দেখলেই ওনার পোষাক বদলাতে হয়। কিন্তু নিজের নিক দিয়েছে বির। বোঝেন অবস্থা!
এবার যে নামটার কথা বলব তাকে নাম দেখেই চিনতে পারবেন! তিনি অন্য কেউ নন তিনি হলেন কালীদাস ভাইয়া
ওনার নাম শুনে আপনাদের কার কথা মনে পড়ল নিশ্চয়ই মহাকবি কালিদাসের কথা নাকি! আমাদের কালীদাস ভাইয়াও কিন্তু কবিতা লেখেন তবে সেগুলোকে ভাইয়া কবিতা বলেন না বলেন কোবতে! চলুন ভাইয়ার কয়েকটা কোবতে পড়ি!!
(বিদ্র এই কোবতে পড়ে কেউ হাসতে হাসতে মারা গেলে আমি বা কালীদাস ভাইয়া কেউই দায়ী নই!)
কোবতেঃ বাসে একদিন
আজ বাসে অসাধারণ সুন্দরী এক মেয়েকে দেখেছিলাম
আহারে, দুনিয়ার সব কিছু থোরাই কেয়ার করে
মেয়েটা আমার দিকে চেয়ে হাসছিল, যদিও সাথে তার মা ছিল,
একটু পরে মেয়েটার মা
মেয়েটার মুখে নতুন ফিডার দিল!
আর একটা কোবতে দিলাম! ভাইয়ার অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা
ঝাকানাকা চাঁদের আলো,
পেরেয়োসি বলেছে, লাগে ভালো।।
মোবাইলের এই দুইনাম্বার ব্যাটারির আলোতে
হারিয়েছি সিম।।
একটা কেডি কুত্তা
আমার সিম মেরে দিয়েছে আজ।
আরো একটা এটাও নাকি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা
মাঠ গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল বলের বাইরে
কাদায় পিছল পড়ে গেল টেরাক
রহিমার মা ডাকে "ঐ ঢ্যালার বাপ"
কাউয়া সব শুনে খালি বলে
কা কা, কা কা।।
সেরকম হৈছে না?
এই পোস্টের সকল দায় ভার পাঠকের! পোস্ট পড়ে পোস্ট লেখককে দায়ী করা চলবে না!!!!
টাইপো থাকতে পারে !! দেখেও না দেখার ভান করে পড়ে ফেলবেন!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮