Apple এ প্রতি তিনজন ইঞ্জিয়ারের একজন ইন্ডিয়ান। ভাবতে পারেন? এপলে জব করা ওখানে আর স্পেশাল কিছুনা।
আর আমরা আছি কত কোটি লোক ইন্ডিয়ায় খোলা জায়গায় বাথরুম করে সেটা নিয়ে।
ইউ কের রয়্যাল সোসাইটি ২০১১ সালে প্রকাশ করে
বিশ্বের ফার্স্টেট গ্রোয়িং সায়েন্টিফিক নেশনসের তালিকা।
সেখানে এক নাম্বারে কোন নামটা আসে জানেন?
আমেরিকা? না রাশিয়া? না জার্মানি?
না
বিশ্বে বৈজ্ঞানিক ভাবে সবচাইতে দ্রুত বর্ধণশীল দেশের তালিকায় এক নাম্বারে নাম আসে ইরানের।
সারা দুনিয়া যখন ইরানে নিউক্লিয়ার উইপন আছে কিনা এইটা নিয়ে গবেষণায় ব্যাস্ত ,তখন ইরানে গত এক দশক ধরে নিরব টেকনোলজিকাল এবং সায়েন্টিফিক বিপ্লব হয়ে যাচ্ছে। ইরান কে ধরা হচ্ছে ইজরায়েলের পাশাপাশি মিডল ইস্টে সায়েন্টিফিক লিডার হিসেবে।
২০০১ সালে ইরানের সরকার বুঝতে পারে
" পরাশক্তিগুলোর সাথে ফাইট করতে হলে বিজ্ঞানের আশ্রয় নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। মুখে মুখে ইহুদী নাসারাদের গালি দিয়ে পাওয়ার গেম জেতা যায়না। "
২০০৫ সালে ইরান সরকার জাতীয় সায়েন্স বাজেটে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ইনভেস্ট করে।
২০০৪ সালে ইরান সরকার এক যুগান্তিকারী পদক্ষেপ নেয়। তারা লক্ষ করে দেশের মেধাবী তরুণরা সব দেশের বাইরে ইউরোপ,আমেরিকায় চলে যাচ্ছে।
তখন ইরানি সরকার দেশের সব ইউনিভার্সিটির যত লোন আছে সব মওকুফ করে দেয় এবং ইউনিভার্সিটি গুলোকে নির্দেশ দেয় রিসার্চ সেক্টরে স্টেট অফ দি আর্ট ফ্যাসিলিটিজ নির্মাণ করতে। যত টাকা লাগে সরকার দেবে। দেশের মেধাবীরা দেশে থেকেই রিসার্চ করুক।
আফসোস আমাদের বুয়েট ,চুয়েট ,রুয়েট ,ঢাবি ,চবি, জাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের জন্য। তারা দেশের বাইরে কম কষ্টে যায়না। রিসার্চ বেজড জব না করে বিসিএস কম কষ্টে দেয়না। এ দেশে রিসার্চের জায়গা কই? পয়সা কই?
এরপর ইরান সরকার ভিশন ২০২১ গোল সেট করে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালে ইরানী সরকারের তিনটা টপ প্রায়োরিটির মধ্যে একটা হচ্ছে
সায়েন্টিফিক এন্ড টেকনোলজিকাল ডেভেলপমেন্ট।
ফলাফল যেখানে ১৯৯৫ সালে বিশ্বের নামকরা জার্নালে ইরানিদের প্রকাশিত পিয়ার রিভিউড পেপার ছিল মাত্র ৭৩৬ সেখানে ২০০৮ সালে পিয়ার রিভিউড জার্নালের সংখ্যা হইল ১৩২৩৮
ইউনিভার্সিটি অফ তেহরান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং এ সেরা ৩০০ তে চলে আসে। আমাদেরগুলার কথা বলে লজ্জা পাবার কোন মানে হয়না।
স্টার্ট আপের ক্ষেত্রে ইরান মিডল ঈস্টে দুই নাম্বার পজিশনে। ২০২১ সালের মধ্যে টেকনোলজিতে ইরান সরকার শুধুমাত্র রিসার্চেই ৩.৫ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করবে।
আরো অবাক করা ব্যাপার হল ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং এ যুদ্ধ আর বোমাবাজির দেশ পাকিস্তানের ৬ টা ইউনিভার্সিটি জায়গা পায়। আর আমাদের?
ভারত, পাকিস্তানের পক্ষে আমার এইসব কথা অনেকের কাছে তিতা লাগতে পারে।
বাট এইগুলা হইল হার্ড ট্রুথ। ক্রিকেট ফিল্ডে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণ হয়না। আইসিসির পেজে যাইয়া দুইটা গালি দিলেও ওসব দেশের দুই পয়সার কিছু যায় আসেনা।
আবার ওয়াজ মাহফিলে ইহুদি নাসারাদের চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করলেও ইসলামের এমন কোন উপকার হয়না। মুসলমান দেশ হিসেবে জাতে উঠা যায়না। বিশ্ব রাজনীতির কঠিন এবং জটিল ব্যাটলফিল্ডে টিকে থাকতে হলে পয়সা লাগবে। আর সেই পয়সা আপনাকে সায়েন্সই এনে দিতে পারবে। ইরানো বুঝে গেছে তেল বেচে বেশীদিন চলবে না।
যতদিন পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানকে আপন না করছি ,আমাদের দেশের রিসার্চ সেক্টরে বিনিয়োগ না করছি ,দেশেই রিসার্চ ল্যাব করে আমাদের মেধাবীদের দেশেই কাজ করার সুযোগ না দিচ্ছি ততদিন বর্ডারে ফেলানীরাই ঝুলে থাকবে।
বিজ্ঞান কে আপন করেন, নৈতিক শিক্ষাকে জাগ্রত করেন, শ্রেষ্ঠত্ব আপনার হাতের নাগালে আসবে।.....
Collected
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯