এটির জন্ম ১৯৮২ সালে ইসরাইল ও লেবানন যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে। এটি লেবাননের একটি শিয়া মিলিশিয়া গ্রুপ। কিন্ত অনেক সুন্নিও সেখানে বিভিন্ন পদে ও তাঁদের সাথে থেকে যুদ্ধ করেছে। হেজবুল্লাহর নীতি হল লেবাননে ইসরাইলী হামলা থেকে সাধারণ মানুষ ও দেশকে রক্ষা করা। গ্রুপ টি ইরান, সিরিয়ার ও কাতারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ও সামরিক সহয়তা লাভ করে। Iranian Revolutionary Guards এঁদের প্রথম প্রশিক্ষন দিয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।
১৯৮০ সালে দলটি গঠনে সহায়তা করেছিলেন দামাস্কাতে নিযুক্ত ইরানের সাবেক রাস্ট্রদূত আলী আকবর মোহতাশেমি।
হিজবুল্লাহর কিছু উল্লেখ্যযোগ্য অপারেশন-
১৯৮২ সালে ইসরাইলী সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৭২ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা করে হিজবুল্লাহ।
১৯৮৩ সালে হিজবুল্লার গেরিলাদের হামলাকে বলা হয় অন্যতম সফল ও ভয়ানক হামলা বৈরুতে মার্কিন সেনা ক্যাম্পে আত্মঘাতি বোমা হামলা চালিয়ে ২৪১ জন মার্কিন মেরিন সেনা ও ৫৮ জন ফ্রান্সের সেনাকে হত্যা করে।
১৯৮৪ সালে তেলআবিবে ইসরাইলী সেনা হেডকোয়াটারে হামলা চালিয়ে ২২ অফিসার সহ ১৩২ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা।
১৯৮৫ সালে ইসরাইলী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৪২ জন সেনাকে হত্যা।
১৯৮৫ সালে বিমান ছিনতাই।
১৯৮৬ সালে ইসরাইলে বোমা হামলা করে ২৬ জন ইসরাইলী সেনা হত্যা।
১৯৯২ সালে আজেন্টিনায় বোমা হামলায় ইসরাইলী রাষ্ট্রদুতকে হত্যা সাথে ২৮ জন ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়।
১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৯৪ জন ইসরাইলী সেনা হত্যা।
১৯৯৪ সালে লন্ডনে হামলা চালিয়ে ইসরাইলী রাষ্ট্রদূত হত্যা সেই হামলায় ৬২ জন নিহত হয়েছিল।
১৯৯৫ সালে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ১২০০ সেনা পাঠায় হিজবুল্লাহ বসনিয়ার মুসলিম বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য।
১৯৯৬ সালে সার্বিয়ার সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ২৩২ জন সার্বিয়ার সেনাকে হত্যার অপারেশন।
১৯৯৬ সালে আমেরিকায় বোমা হামলায় ৪২ জন ইহুদিকে হত্যা।
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহ ইসরাইল যুদ্ধ
২০১২ সালে ইসরাইলী সেনা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা।
২০১৫ সালে সেবা ফার্মে হামলায় চালিয়ে ১৫ জন ইসরাইলী সেনাকে হত্যা।
বর্তমানে সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পক্ষে আইএস ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহ ইরান থেকে তাঁদের তৈরি অনেক অস্ত্র ব্যাবহার করে এমনকি ক্রুজ মিসাইল ব্যাবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁদের কাছে ৩০০ কিলোমিটারের বেশী ক্ষেপণাস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা হয়।
হিজবুল্লাহর সদস্য সংখ্যা ২০ হাজার ধরা হলেও প্রায় ৫০ হাজারের মতন বলে ধারনা করা হয়। তাঁদের বাজেট ধরতে গেলে মিলিশিয়া বাহিনীর ভিতরে সবচেয়ে বেশী প্রায় ২ বিলিয়ন! এর বেশীর ভাগ পেয়ে থাকে ইরান ও কাতার থেকে। কাতারকে অবরোধ দেওয়ার পিছনে অন্যতম কারন হল হামাস ও হিজবুল্লাহকে অর্থ সহায়তা করা।
হিজবুল্লর বর্তমান মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ।
বলা হয় এটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী গেরিলা বাহিনী।
কালেক্টেড #
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫