ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা শিবির - যে নামেই ডাকা হোক না কেন....... ছাত্র নামধারী কিছু নরকের কীট বাংলাদেশে অরাজকতা চালাচ্ছে। এটা ১ দিন বা ২ দিনের 'বিচ্ছিন্ন' কোন ঘটনা না, প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে চলে আসছে। কিন্তু এটা বন্ধ হচ্ছে না। সবাই মনে করে এরা এত অন্যায় কাজ করছে অথচ বন্ধ হচ্ছে না কেন??? সত্যি কারণটা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষেরা আসলে চায় না এদের কার্যক্রম বন্ধ হোক। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটিই আসলে কারণ। ছাত্রলীগের এই অমানুষেরা এই যে নিষ্ঠুরতাগুলো করে, যেমন কাউকে পেটানো, পিটিয়ে বা কুপিয়ে মেরে ফেলা, রামদা লাঠিসোটা হাতে ক্ষমতা দেখানো, এই যে বিকৃত হিংস্র আচরণগুলো তারা করে, বাংলার মানুষগুলো এই আচরণগুলো মনে মনে করতে চায়। তারাও চায় এদের মত কাউকে মন খুলে পেটাতে, গায়ের জোরে পিটিয়ে মেরে ফেলতে। এই হিংস্র উল্লাসগুলো তারা মনে মনে উপভোগ করে, তারা নিজেরাও এর স্বাদ পেতে চায়। এর প্রমাণ দেখা যায় বাসের ভাড়া দেবার সময়, অথবা নিরীহ কোন ভুল বোঝা মানুষের প্রতি সাধারণ জনগণের হিংস্রতা দেখে। অমানুষের মত তারা তখন সেই অসহায় মানুষটিকে পেটায়, গালাগালের তুবড়ি ছোটায়। ভাগ্য ভালো হলে সে বেচে যায়, নাহয় তাকে মরে যেতে হয় একটি ভুল অপবাদ মাথায় নিয়ে। অথচ দেখা যায় অসহায় কোন মানুষ বিপদে পড়লে তখন তাদের ব্যাস্ততার অন্ত থাকে না। বিশ্বজিতের মত আরো অনেককে সবার সামনে মেরে ফেললেও তখন তাদের ভাবান্তর হয় না, কেন??? তার কারণ, তখন তারা দেখে, এখানে প্রতিপক্ষ হচ্ছে সত্যিকারের অপরাধী, একে মারা উচিত, একে পিটিয়ে মারলে সমাজের উপকার হবে। তখন তাদের ভেতরের বীরপুঙ্গবটি কোথায় যেন হারিয়ে যায়। তখন সে হয়ে যায় সামান্য একজন পথচারী, যে পালিয়ে বাঁচতে চায়। দেখলে বিশ্বাস হতে চায় না, এই 'সামান্য' মানুষটিই নিরীহ একটি মানুষকে দানবের মত পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। এই ব্যাক্তিটিই আবার একটা দুর্নীতিগ্রস্থ সন্ত্রাসী নেতার পায়ে পায়ে ঘুরবে প্রভুভক্ত কুকুরের মত, তখন তার ভেতরের দানবের লেশমাত্র থাকে না।
মাঝে মাঝে আমার দেশের মানুষদের নিয়ে খুব হীনমন্যতায় ভুগি। তোরা নিরীহ মানুষকে পেটাতে পারিস, সমাজের দুর্নীতিবাজদের পেটাতে পারিস না, চোর চেয়ারম্যানটিকে পেটাতে পারিস না??? শালার বাঙালি, হাসিনা খালেদা তোদের ছাগল ভাববে নাতো কি ভাববে??? নোংরা রাজনীতিবিদেরা ইচ্ছামত লুটপাট করবে নাতো কি করবে??? ছাত্রলীগ পিটিয়ে গুলি করে তোদের ছেলেকে মারবে নাতো কি করবে??? আগে তোরা ঠিক হ......... শুধু স্টেডিয়ামে গিয়ে বাংলাদেশ বাংলাদেশ করে চিল্লালে দেশপ্রেম হয় না.......... পাকিস্তানকে আমি ঘেন্না করি লেইখা স্ট্যাটাস দিলে দেশপ্রেমিক হওয়া যায় না। কাজেকর্মে কিছু প্রমাণ দেওয়া লাগে। আগে বদলাতে হবে নিজেকে, সমাজ তখন এমনিতে বদলে যাবে।
Click This Link
Click This Link