মানুষের মায়াবী সুগন্ধ পোড়ায় হৃদয়ের অলিন্দ প্রাচীর
তারপর পাথরের গায়ে সহস্রকাল ধরে জমে অগুণতি শিশির।
অনন্ত বিস্ময়ে চেয়ে থাকা সে পথের
স্মৃতির অঙ্গন জুড়ে চিরহরিৎ অরণ্য এক,
দু'একটি দুঃসহ ক্ষত নিয়ে
বুকের এক পাশে চর নিয়ে বয়ে যায় নদীও আরেক।
ঘুণ ধরা ঘুমহীন জানলা বেয়ে,
ধীরে আসে মেঘ-কুয়াশা, বরষা এবং পৌষের রাত।
তারপর কবিতার মতো আনত সেই মুখটির কাছে,
কাছাকাছি, আরো কাছে গিয়ে,
সেসব শীতকালে জড়ানো আলোয়ান খোঁজে তার।
জানে তো জীবন তবু
ঘর ভেঙে যে পাখি অন্য নীড়ে,
ডানায় প্রেমের সুগন্ধ নিয়ে উড়ে গেছে,
তারপর দুঃসহকালে সহসা পাজরের হাড়ের
তীব্র দহনে পুড়ে যায়
মানুষের মায়াবী-সুগন্ধ-অনুষঙ্গ ,
হৃদয়ের অলিন্দ প্রাচীর।
আমাকে ডেকে দেখো জীবন,
আমি কবি সেই,
কবিতার আনত মুখটির।
ভাবছি এখন!
অস্তাচলের সূর্য যখন লাল ছড়ালো,
তোমার সাথের ভোরবেলাটা দুপুর
আসার অনেক আগেই ফুরিয়ে গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯