আঁধার নেমেছে রাত্রি ঘনায়/
কপট ছোবলে চুমুর ফনায়/
আমায় নাইবা নিলে;/
মনে নেই?/ সে নদের কথা কি?/
নিতো যে চাঁদের ছায়াটি গিলে!/
তুমি সে নরম ঢেউয়ের মতোই ছিলে?/
আমি যে বিভোল সুরের মদিরা পালে/
নৌকো হাওয়ায় উজান চলে না জেনে/
ভাটির স্রোতে তোমাকে ভাসিয়ে নদী/
শুণ্য ঘাটের শেষ সিঁড়ি অবধি,/
বুকজলে ডুবে সুদূর পশ্চিমে চেয়ে রই/
বেলা ডুবে গেলে, খেলাশেষ বুঝি?
দেখো, ভোর আসে ওই।
▫️
গেরামের পথে ঝিঁঝিঁর সাথে পাতিয়ে মিতালী সই/
ঘুটঘুট্টি যে নামতো আঁধার!/ সেসব আঁধার কই?/
জোনাক-দেখা সে পথের রেখায় ভাঁট-মহুয়ার-ফুল,/
ঘ্রাণে চেনা সে পথের নিশানা আরো বেশ নির্ভুল;/
তুমি সে পথের আগড় ছিলে না বুঝি?/
মৌরী মহুয়া বৈচী ঝোপে হারানো ঠিকুজি!/
সেসব রাতের মহুল মহুয়ার তুমি সে সুরভি ছিলে?/
তবু-
সুখের ঘেরাণ তুমিও ছড়াতে; জানে তা ভুবন চিলে।
▫️
কথারা ফুরোলে মানুষও ফুরায়?/
তুমিও ফুরোতে জানো?/
অথচ,
কথা না দিয়েই নিয়ত ফেরে ভোর;/ ফেরে আযানও।
বাতাসের মাতমে তাই/ প্রিয় নিঃশ্বাস খোঁজে ঠাই,/
এই পলিদ্বীপে এসে/ আবার হারাবো রাই,/
মদিরা বিভোল রাতে/ তোমায় পেয়েছি যেথা/
সুখের ঝিনুক যদি /কুড়িয়ে পেতাম সেথা!/
যেথায়-
হাওর গাঙ্গের জল / আমায় খেয়েছে গিলে
আর সে তুমিই শুধু/ সুখের ছায়াটি ছিলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩