গত পর্বে মানুষ কি ভাবে সত্যিকারের নিঃসংগ প্রাণী সে সম্পর্কে আলোচনা
করেছিলাম।শুধু মানুষই নয় জ়ীব মাত্রই জীবনের কোন না কোন অংশে নিঃসংগতা অনুভব করে। এদের মধ্যে মানুষের নিঃসংগতা বোধ ভিন্ন প্রকৃতির ও বৃহৎ পরিসরের। কারণ মানুষ বুদ্ধিমান, এজন্য সে নিজেই তার অনুভুতির কারন খুজে বের করার জন্য তৎপর হয়।এবং এর ফলে মানুষ তার নিঃসংগতা কাটানোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয়।একজন মানুষের একান্ত ভিতরের সত্তা এটা মেনে নিতে একদম মেনে নিতে অপ্রস্তুত যে, সে এই পৃথিবীতে একেবারেই একা এবং সে এই ধ্রুব সত্যকে অস্বীকারের জন্য সে তার চারপাশে বিভিন্ন বলয় সৃষ্টি করে।এর উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কিছু মানুষ সমাজে অতিরিক্ত আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতে ও চারপাশের মানুষকে তা দেখাতে পছন্দ করে।কিন্তু ভাল করে খোজ নিলে দেখা যাবে ঐ ব্যক্তিই জীবনে চরম অসুখী।মানুষের আরেকটি বৈশিষ্ট্য মানুষ সে যে রকমই হোক না কেন সে তার চারপাশে সুক্ষ ভাবে আবরন তৈরী করে এবং তার সকল কর্মকান্ডের জন্য নিজেকে প্রবোধ দেবার জন্য যুক্তির অবতারনা করে।বুদ্ধিমান মানুষ বরাবরই একাজে পারদর্শীতা দেখিয়ে আসছে।এই নিঃসংগ্তা বোধের পরিস্তিথি অনুযায়ী সে আচরণ করে এবং এর মাধ্যমে এই অনুভূতির সুফল ও কুফল ভোগ করে।সুস্থ মস্তিষ্কে্র,ইতিবাচক চিন্তা ধারার নিঃসংগতা বোধ মানুষকে তার দায়িত্ববোধ সম্পর্কে সচেতন করে।উল্টো দিকে নেতিবাচক চিন্তাধারার নিঃসংগতা বোধ তাকে নিয়ে যায় অন্ধকারের দিকে।একই অনুভুতি শুধু চিন্তাধারার পার্থক্যের কারণে কিভাবে মানুষকে আলো ও অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায় তা একটা বিষ্ময়কর ব্যাপার।দেখা যায় জীবনের অধিকাংশ সময় ইতিবাচক কিন্তু নিঃসংগতা বোধের সময় নেতিবাচক চিন্তার কারণে আপাত সফল ব্যক্তিকে অনেক মূল্য দিতে হয়।অপরদিকে নিঃসংগতা বোধের সময় ইতিবাচক চিন্তা ধারার মাধ্যমে সে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত থাকে, যা মানষকে নিয়ে যায় আলো, সফলতা ও শান্তির দিকে।
আজ এই পর্যন্ত থাক, ভাল থাকবেন সবাই।
আত্ম উপলব্ধি-১ এর িলংক.
Click This Link